ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

জুলাইয়ে এডিপি বাস্তবায়ন ১ শতাংশের নিচে

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে মাত্র এক হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে; যা মোট এডিপি বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যেও বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছিল।

ওই সময় অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছিল ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা, যা ওই অর্থবছরের এডিপি বরাদ্দের ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।

সংস্থার নিজস্ব তহবিলে অর্থায়নসহ এডিপির আকার ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে আইএমইডি।

আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি তহবিল থেকে জুলাই মাসে ব্যয় হয়েছে ৭২৮ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান খাতের বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ৮৩৮ কোটি টাকা, যা বৈদেশিক তহবিলের বরাদ্দের শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা।

আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, ৫৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১১টি জুলাই মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে আছে—স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

জুলাই মাসে ১ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে মাত্র ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তারা বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া বড় আকারের বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।

এছাড়া এ তালিকায় আছে– শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৩.৫১ শতাংশ), কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ (৩.৪৬ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (১.৪৩ শতাংশ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (১.৪৯ শতাংশ), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (১.৩৮ শতাংশ), ভূমি মন্ত্রণালয় (২.০১ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন (১.৪৯ শতাংশ), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (৭ শতাংশ), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (২.৭২ শতাংশ), লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (২.৩৪ শতাংশ)।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার