দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ঢাকায় জ্বালানি তেল আসবে। আগামী শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদষ্টো ফাওজুল কবির খান চট্টগ্রামে এসে গুপ্তাখালস্থ পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডেসপাস টার্মিনালে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ হাসান উজজামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের এ কার্যক্রম দেশের জ্বালানি খাতের ইতিহাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তেল চুরি এবং অপচয় ঠেকানোসহ কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েক দফায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে এ পাইপ লাইন ব্যবহার করে তিনটি তেল বিপণন কোম্পানি জ্বালানি তেল সরবরাহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অটোমেটেড ডিপো। সর্বাধুনিক এই ডিপো থেকে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সন্নিহিত অঞ্চলের প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে। যা এখন নৌপথে চাঁদপুরে পাঠানো হয়ে থাকে।
এ ডিপোতে জ্বালানি তেল গ্রহণ এবং সরবরাহ সবকিছু নিয়নি্ত্রত হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে। তেলের ওজন, তাপমাত্রা, সরবরাহ সবই পরিচালিত হবে কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তিতে। ম্যানুয়েলি কোনো কাজই হবে না। চট্টগ্রামের ডেসপ্যাচ টার্মিনালের স্ক্যাডা মাস্টার কন্ট্রোল স্টেশন থেকেই পুরো পাইপলাইনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হবে।
স্ক্যাডা, টেলিকমিউনিকেশন এবং লিক ডিটেকশন করতে এ পাইপ লাইনের সাথে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লাইন সংযক্ত রয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের ২৪১ কিলোমিটার অংশে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসানো হয়েছে, যা পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যনত্ম বিসত্মৃত । পাশাপাশি, গোদনাইল থেকে ফতুলস্না ডিপো পর্যনত্ম ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার পৃথক ১০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।