ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা

দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। এখন আর টাকা জমা বা উত্তোলনের জন্য মানুষকে জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যেতে হয় না- হাতের নাগালেই মিলছে ব্যাংকিং সুবিধা। পাশাপাশি ঋণ ও প্রবাসী আয়ের সেবাও দিচ্ছে ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেটগুলো। তবে চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা কমেছে। তবে এসময়ে আমানত বেড়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৪২২টি। জুন শেষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ২৩৬টি— অর্থাৎ তিন মাসে হিসাব কমেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৮৬টি।

এ সময়ে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ২ হাজার ৬৪২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মার্চ শেষে আমানত ছিল ৪২ হাজার ৯৬৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা জুন শেষে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৬০৫ কোটি ৭২ লাখ টাকায়।

ঋণ বিতরণেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মার্চ শেষে ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ২৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, যা জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকায়— বা ২ হাজার ৩৭১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেড়েছে।

প্রবাসী আয়ও বেড়েছে ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী আয় ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, যা জুন শেষে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের বড় অংশই গ্রামীণ এলাকার। বর্তমানে গ্রামীণ গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে নারী গ্রাহক ১ কোটি ২০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৬ জন।

তবে এ সময়ে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা কমেছে। মার্চ শেষে এজেন্ট ছিল ১৫ হাজার ৮৩৮টি, যা জুন শেষে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩৭৩টি- তিন মাসে কমেছে ৪৬৫টি। একই সময়ে আউটলেট কমেছে ৪৬৬টি, মার্চের ২১ হাজার ২৩টি থেকে নেমে জুনে হয়েছে ২০ হাজার ৫৫৭টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যা এখন সারাদেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার