আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
সোমবার (১১ আগস্ট) ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে ইসির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইভিএম প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে না। সেখানে না ভোট হবে। দুইজন প্রার্থী সমপরিমাণ ভোট পেলে লটারি নয় পুনরায় নির্বাচন হবে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, হলফনামায় দেয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে নির্বাচিত হওয়ার পরেও পাঁচ বছর মেয়াদ পর্যন্ত কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমন কী সদস্য পদ বাতিলও করতে পারবে ইসি।
তিনি বলেন, ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবে প্রার্থীরা। তবে সেটা হতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও দলীয় প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি নতুন দলের মধ্যে ২২টি দল বিবেচিত হয়েছে। এসব দলের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলবে বলে জানান সানাউল্লাহ।
এসময় ৮৩টি সংসদীয় আসনে সীমানা নির্ধারণে নির্বাচন কমিশন আপত্তি পেয়েছে বলে জানান তিনি।