ক্যাটাগরি: অর্থনীতি

ইইউর ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট বাস্তবায়ন প্রস্তুতি সেমিনার

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নীতিমালা, ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিতে দিনব্যাপী একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাণিজ্য ফোরাম: ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্টের উপর আলোকপাত’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড’র (GIZ) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল, ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট নিয়ে একটি সম্মিলিত ধারণা তৈরি করা এবং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে ইইউ’র টেকসই পণ্য বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এই ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর অনুষ্ঠান বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো। ডিপিপি’র মতো নিয়ম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন ব্যয় অতিরিক্ত বৃদ্ধি না পায়, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি।।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ।

এসময় রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ বলেন, একটি পণ্যের অনুসন্ধানযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ডিপিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ডিপিপির জন্য এমন একটি ডাটা ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই। যা সরকারের মালিকানায় থাকবে এবং যেখান থেকে রপ্তানিকারক, কারখানা মালিকসহ বেসরকারি খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল ইইউ’র ট্রেসেবিলিটি ও সার্কুলার ইকোনমির চাহিদা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। বক্তারা ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোরর্টের কারিগরি কাঠামো এবং এর মাধ্যমে কীভাবে পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল থেকে শুরু করে পুরো সাপ্লাই চেইন পর্যন্ত অনুসন্ধানযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে পোশাক, খাদ্য, ওষুধ এবং ব্যাটারিসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।

আয়োজকরা মনে করেন, এই সেমিনারটি বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক, শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পকে ইইউর ভবিষ্যৎ টেকসই মানদণ্ড পূরণে সহায়তা করবে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার