ঢাবির টিএসসিতে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে বামপন্থি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মীর কাশেম আলী, কামরুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরিয়ে নেওয়ার পর টিএসসির প্রবেশ মুখে প্রক্টোরিয়াল টিমের গাড়ি আটকে শিবির বিরোধী বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
এর কিছুক্ষণ পরেই টিএসসিতে উপস্থিত শিবির কর্মীরা বাম বিরোধী বিক্ষোভ করে টিএসসির গেট পর্যন্ত আসেন।
বামপন্থী শিক্ষার্থীরা ‘২৪ এর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘৭১ হারে নাই, হেরে গেছে স্বৈরাচার’ ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
পাল্টা বিক্ষোভে শিবির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘শাহবাগীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের বি-টিম, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পরেই টিএসসিতে উপস্থিত হন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন যার যার রাজনৈতিক কথা সে সেটা বলবেই। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। শিবির নেতাকর্মীদের টিএসসির বাইরে অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় শিবিরের প্রোগ্রাম সংক্ষিপ্ত করার দাবি তোলেন ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম। ফলে শিবির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন হাসিব। তারা দাবি করেন শিবিরের প্রোগ্রাম বন্ধের পাঁয়তারা করছেন তিনি।
কাফি