ফ্যাসিবাদের পতন ও ‘ফতহে গণভবনের’ একবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ এক বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হওয়া ‘ফতহে গণভবন সাইকেল র্যালি’টি শাহবাগ, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি হয়ে গণভবনের সামনের সড়ক পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে আসাদগেট, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র্যালিটি ছিল সুশৃঙ্খল, প্রাণবন্ত এবং বিভিন্ন ব্যতিক্রমধর্মী গণতান্ত্রিক ও মুক্তির স্লোগানে মুখরিত।
র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী, কর্মী ও নেতা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে একটি করে বিশেষ টিশার্ট সরবরাহ করা হয়, যাতে লেখা ছিল, “৩৬ শে জুলাই, আমরা থামব না।” র্যালির প্রতিটি সাইকেলে ছিল বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা, যা আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
র্যালি শেষে টিএসসিতে উপস্থিত সবাইকে প্রাতরাশ সরবরাহ করা হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ছাত্রশিবির নেতারা দেশের ছাত্রসমাজকে অধিকার সচেতন, নৈতিক ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “এক বছর আগে জনগণ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছিল। আজকের র্যালি সেই চেতনা পুনর্জাগরণের প্রতীক।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, “৫ আগস্ট বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রতীক। এই দিনটিকে ঘিরেই আমরা আয়োজন করছি তিন দিনব্যাপী কালচারাল প্রোগ্রাম, আলোচনা সভা ও চিত্র প্রদর্শনী।”
শাখা সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান বলেন, “নৈতিক ও আদর্শভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রসমাজের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর এই র্যালি সেই দায়িত্ব পালনেরই বহিঃপ্রকাশ।”
কাফি