সাজিদ হত্যার প্রতিবেদন জমা, উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। এবং উচ্চতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফাইন্ডিং কমিটি।

রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলা অনুষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করে।

সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ভিসেরা রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তদন্ত রিপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে।

ফ্যাক্টস উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, পুকুরে পানিতে পড়ার মৃত্যু আমরা পাইনি। অনুমিত করে বলা যায় পৌনে পাচঁটার আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ে সাজিদকে পাওয়া যায়নি।

ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাজিদের ফোন নাম্বার দুইটা। ১৫ তারিখ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে সাজিদ আব্দুল্লাহ শেষ কল করে যার স্থায়িত্ব ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। এরপর আর কোন আউট গোইনং কল পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখে ৮ টা ৩০ মিনিটে সাজিদে ফোন কল দেখতে পাই যেটার স্থায়িত্ব ৯ সেকেন্ড এবং অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি (সাজিদের বন্ধু ও রিপন আলী নামক ব্যক্তির কল ছিল)। এরপরে আবার সাজিদের বন্ধু রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটে কল দেয় এবং কলের স্থায়িত্ব ছিল ২০ সেকেন্ড তবে অপর প্রান্ত থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি। এবং কলগুলো কোন টাওয়ারে ম্যাচ করেছে সে সকল তথ্যসমূহ দিয়েছি। মেসেঞ্জার ও ওয়াটসআপ আমাদের হস্তগত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উচ্চতর তদন্ত সংস্থার দ্বারা এটা ঘটনার তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছি। আমাদেরকে যে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে সেই ১০ দিনের মধ্যে শেষ করেছি। এ কাজের সাথে ডাক্তার, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাজিদের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, জেলা কল্যাণ সকলের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমার টিম দিনরাত পরিশ্রম করে এ কাজটা সম্পন্ন করেছে। আমাদের কাজ ছিল ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং করা সেই কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

এর আগে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য মতে, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। রিপোর্টে শ্বাসরোধের (asphyxia) ফলে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পোস্টমর্টেমের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ছয়টায় শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাজিদ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব

শেয়ার করুন:-
শেয়ার