দেশের পুঁজিবাজারে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা কমলেও বড় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের হিসাব অনুসারে, বর্তমানে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। আগের বছর তাদের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৯৭৬ জন। বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৮১ জন।
অন্যদিকে, বছরের ব্যবধানে এক লাখ টাকার কম বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৪৫৭ জন কমেছে। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে এ ধরনের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৮ জন, যা আগের বছর ছিল ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫ জন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৈরি করা বিও হিসাব ও বিনিয়োগকারী সংক্রান্ত এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে (৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে) ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিনিয়োগকারী আছেন ৭০ জন। আর ১০০ কোটি বা তার বেশি বিনিয়োগ আছে, এমন বড় বিনিয়োগকারী আছেন ৩৪৭ জন, ৫০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে ৭৩৩ জনের। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে ১০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন এমন বিনিয়োগকারী আছেন দুই হাজার ৮৯১ জন এবং এক কোটি বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৩১৬ জন।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অথবা বিও হিসাবের সংখ্যা কিংবা বিনিয়োগ কমছে এমন বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি মূলত সম্পূর্ণ সত্য নয়। মূলত বিগত বছরের তুলনায় পুঁজিবাজারে বৃহৎ বিনিয়োগকারী (৫০ কোটি হতে ৫০০ কোটি টাকা এবং তদুর্ধ্ব পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বিগত বছরের তুলনায় মাঝারি বিনিয়োগকারী (৫০ লক্ষের ঊর্ধ্বে ও ৫০ কোটি টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে বিগত বছরের তুলনায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী (১ লাখের বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার কম পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) এর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় অতি ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারী (১ লাখ টাকার নিম্নের পোর্টফোলিও ভ্যালুসম্পন্ন) এর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
এসএম