অনন্ত অ্যাপারেলস লিমিটেড ও টাইম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং এস.আর.এল. রোমানিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল মেনসওয়্যার লিমিটেড (ইউএমএল), যেটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফরমালওয়্যার প্রস্তুতকারী, তারা তাদের আদমজী এইপিজেডের অত্যাধুনিক কারখানার ছাদে ৮১৪ কিলোওয়াট পিক সোলার পাওয়ার চালু করেছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব শিল্পের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা বড় ধাপ।
এই সোলার সিস্টেমটি ৫ জুলাই থেকে চালু হয়েছে আর ২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি ইউএমএল’র পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। এই প্রজেক্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকনোলজিকাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এটি ইউএমএল’র ইএসজি (ESG– এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স) কৌশলের অংশ।
৬০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে এই সিস্টেমে রয়েছে ১ হাজার ৩৩৫টি লংজি ৬১০ ওয়াট পিক সোলার প্যানেল আর সাতটি এসএমএ ১১০ কিলোওয়াট ইনভার্টার। এটি প্রতি বছর প্রায় ৯৫০ মেগাওয়াট আওয়ার পরিষ্কার বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, যা বছরে আনুমানিক ৬৩৭ টন কার্বন কমাবে।
এই প্রকল্পটি ইউএমএল’র ২০২৩ সালে পাওয়া এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশনকে আরও শক্তিশালী করছে এবং ভবিষ্যতে এলইইডি প্লাটিনাম অর্জনের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিচ্ছে।
ইউএমএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহীর বলেন, এই সোলার প্রকল্পটি সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ। আমরা যে দায়িত্বশীলভাবে পোশাক তৈরি করছি-এটা তারই এক দৃষ্টান্ত। পরিবেশের যত্ন আর বিশ্বমানের উৎপাদন একসাথে সম্ভব– সেটাই আমরা প্রমাণ করছি।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সাল মেনসওয়্যার লিমিটেড এখন পুরুষদের পোশাক তৈরির শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মাসে ৩ লাখ স্যুট তৈরির সক্ষমতা আছে, এবং ৬,০০০-এর বেশি কর্মী রয়েছে। বার্ষিক আয় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারা মস ব্রোস, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, এইচ অ্যান্ড এম, ক্যালভিন ক্লেইন, বেন শেরম্যান, কেনেথ কোল, আর জারা-র মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডে পণ্য সরবরাহ করে।
বাংলাদেশের শিল্প খাত এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে, ইউএমএল টেকসই আর বিশ্বমানের উৎপাদন একসাথে কেমন করে এগিয়ে যেতে পারে, সেটার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।