সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নড়াইল অঞ্চলের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি (ডিএসও) সেন্টু হাওলাদারের পরিবারকে সাড়ে তিন লাখ টাকার জীবন বীমার চেক হস্তান্তর করেছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
রোববার (২০ জুলাই) বীমা প্রতিষ্ঠান ওয়াদা ইনশিওরের প্রধান কার্যালয়ে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
বিক্রয় প্রতিনিধিরা নগদের সরাসরি কর্মী না; তারা বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা বিপণন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিযুক্ত। তারপরেও নগদ মনে করে পরোক্ষকর্মী হলেও এই দায়িত্ব নগদের ওপরেও বর্তায়। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নগদ সব সময় এই কর্মীদের পাশে থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত প্রশাসক মুতাসিম বিল্লাহ ও ওয়াদা ইনশিওরের এসোসিয়েট ডিরেক্টর এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) এসকে খালিদুজ্জামান। ওয়াদা ইনশিওর ইনস্যুরেন্সের পার্টনার চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আসিফ শামস অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, চিফ কমার্সিয়াল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহীন সরওয়ার ভূইয়াসহ ওয়াদা ইনশিওর এবং চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চেক হস্তান্তরের সময় নগদের প্রশাসক বলেন, “মাঠ পর্যায়ে কাজ করা বিক্রয় প্রতিনিধিরাই প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকসেবার মূল চালিকা শক্তি। তারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাদের ঝুঁকির বিবেচনায় আর্থিক সহায়তার অঙ্ক খুবই সামান্য। আমরা সহায়তার এই অঙ্ক বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্ঘটনাকবলিত প্রতিটি কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নগদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
চেক হাতে পেয়ে নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া ইসলাম আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “দুর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যাওয়াতে আমার যা ক্ষতি হয়েছে সেটা অপূরণীয়। তারপরেও নগদ যে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি নগদের সাফল্য কমনা করি।”
সুমাইয়া আরো বলেন, “আমাদের একমাত্র ছেলেটাকে নিয়েই এখন আমার যত চিন্তা। আমার স্বামীর অফিস থেকে যখন ফোন দিয়ে জানায় যে তারা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমি অবাক হয়ে যাই। আজ সেই চেক দিল। আমাদের এমন বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য নগদকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া এই এককালীন আর্থিক সতায়তার বাইরেও নড়াইলে নগদের বিপণন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়াহিদুজ্জামান, সেন্টু হাওলাদার মারা যাওয়ার পর থেকে প্রতিমাসে তার পরিবারকে দুই হাজার টাকা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (এক বছর) সহায়তা প্রদান করবে। তাছাড়া সেন্টু হাওলাদারের শিশুপুত্রের বয়স দশ বছর হওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর চার হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও অব্যাহত রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।
নগদের কাছে প্রতিটি বিক্রয় প্রতিনিধি ও তার পরিবার সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই সামনের দিন গুলোতেও একইভাবে তাদের এমন সহায়তা কার্যক্রম চালু রেখে পাশে থাকতে চায় নগদ।
কাফি