ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সাভারের বিসিডিএমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পর্যালোচনা সভায় ইউসিবির ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কৌশলগত অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভার মূল আকর্ষণ ছিল ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক অসাধারণ অর্জন—২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউসিবি নিট আমানত বৃদ্ধি করেছে ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত বাজেট (৫১০০ কোটি) ও লক্ষ্যমাত্রা (৬০০০ কোটি) উভয়কেই উল্লেখযোগ্য ভাবে ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতে, এই অর্জন ব্যাংকের কর্মদক্ষতা এবং গ্রাহকদের অবিচল আস্থার ফলাফল। ইউসিবি বর্তমানে দেশের অন্যতম স্থিতিশীল ও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ঝুঁকিহীন এবং টেকসই ঋণ বিতরণে জোর দেওয়া; অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল গ্রহণ করা; প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানো, যাতে গ্রাহকরা দ্রুত ও নিরাপদ সেবা পান এবং অমানতের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখা: আমানত বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন কৌশল ও পণ্য চালু করা।
বর্তমানে ইউসিবির ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগের বছরের সেপ্টেম্বর (৯২ দশমিক ৫%) ও ডিসেম্বর (৯১ দশমিক ৩%) এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত। যেখানে অনেক ব্যাংক অতিরিক্ত ঋণ বিতরণের ফলে তারল্য সংকটে ভুগছে, ইউসিবি সেখানে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে।
সভা শেষে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এই ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা ইউসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আস্থা ও কর্মীদের দক্ষতায় ইউসিবি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কাফি