দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সর্বদা প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) শাহবাগ পূর্ব থানার উদ্যোগে আয়োজিত প্রচার মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত আয়োজিত জাতীয় সমাবেশকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রচার মিছিলের আয়োজন করা হয়।
এসময় ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই ঢাকার জাতীয় সমাবেশ শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তাই এই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো জাতীয় নির্বাচন চাই। সে লক্ষ্যেই ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিবাহী সময়ে জাতীয় সমাবেশ জাতীয়ভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার পর গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে।’
ড. হেলাল বলেন, ‘সংস্কার না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। আবারও নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে, তা জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এই সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দখলবাজদের সঙ্গে জোট করবে না। জোট করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের সঙ্গে। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্যই হচ্ছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেওয়া।’
ড. হেলাল আরও বলেন, ‘যারা দল পরিচালনায় ব্যর্থ, তারা দেশ পরিচালনায়ও ব্যর্থ হবে। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে জাতি সেটি জানে। যে দলের এক নেতা আরেক নেতার কাছে নিরাপদ নয়, এক কর্মী আরেক কর্মীর কাছে নিরাপদ নয়, সেই দলের কাছে দেশ ও জাতি কখনোই নিরাপদে থাকতে পারবে না।’
শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. নুরুন্নবী রায়হানের সঞ্চালনায় মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- থানা বায়তুলমাল সম্পাদক কামরুজ্জামান, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুখলেছুর রহমান জুয়েল, কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল মোনিম খান, ওমর ফারুক, ফারুক হোসেন, আলী হোসেন সুমন, সানাউল্লাহ রাকিবসহ অনেকে।
জামায়াতের এই মিছিলটি সেগুনবাগিচার আন নুর মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগর মোড়ে এসে শেষ হয়।
কাফি