মানববন্ধনে শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ন করলেও সেই আইনের কোনো কার্যকারিতা নেই। আইন বাস্তবায়নে সরকারের অনীহা আইনের শাসনের পরিপন্থী। যে শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে অথচ সেই শ্রমিকদের জীবন আজ স্থবির হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। করোনা মহামারির মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকরা নানারকম হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রবাসে কর্মরত কয়েকশত কর্মী করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের লাশও পরিবার দেখতে পায়নি। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এসময় বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী শ্রমিকদের খোঁজ-খবর রাখে না বলে অভিযোগ করে বক্তরা বলেন, তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষায় আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের পুর্নবাসনের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করতে হবে।
জর্ডান ফেরত শ্রমিক হোসনেয়ারা বেগম বলেন, একটু সুখের জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও গিয়ে দেখি কষ্ট। আবার একটু অসুস্থ হলে কাজ করতে দেয়নি, কাজ কম করলে নির্যাতন করতো। এখন দেশে চলে আসছি। সরকার যদি আমাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দিতো তাহলে ভালো হতো।