ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম নিষিদ্ধের দাবি ইবি সমন্বয়কের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি বিরোধীতাকারীরা বিভিন্নভাবে জঙ্গি তকমা দিয়ে ভিন্ন মিছিল (৪ আগস্ট,২০২৪) দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা গোপালগঞ্জের মতো হতে বেশি সময় লাগবে না। অনতিবিলম্বে সেই মিছিলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষক নেতৃত্ববৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সিন্ডিকেট বসিয়ে ব্যক্তি ও তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ সময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সমন্বয়ক সুইট বলেন, সেই সকলের বিরুদ্ধে দ্রুতসময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিন। যখন অন্য জায়গায় আওয়ামী শক্তিদের প্রতিহত করা হচ্ছে তখন একটি গোষ্ঠী মবের নাম দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিদেরকে অপবাদ ও হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। ইবি প্রশাসন যদি আওয়ামী দোসরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে আগামী যে প্রতিহত ও প্রতিবাদ হবে সেটিকে মব বললে আমরা মেনে নিবো না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এতদিনের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।

বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফিরে এলে সবাইকে বিনাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাববে না। আওয়ামী প্রীতির জন্যই আজ গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর পরেও বর্তমান সরকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম, সেভাবে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন মনে করি।

তিনি আরও বলেন, অতিদ্রুত গোপালগঞ্জের এসপি ও ডিসি প্রত্যাহার করতে হবে। গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মবের মধ্যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বোঝা যায় ইন্টিরিম যদি পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার না করে তাহলে দেশে অচিরেই গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অতিদ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে বলেন, মুজিববাদের নিদর্শনগুলো ধ্বংস করার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটলি দিয়েছিলাম সেগুলো এখনো ধ্বংস করা হয়নি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগামী ৩/৪ কার্যদিবসে মুজিববাদের নিদর্শন ও চিহ্নিত গুলোকে ধ্বংস করবে। এখনো জুলাই বিরোধীরাকারী শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাদ শেখ, চয়ন, ইসমাইল হোসাইন রাহাত’সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোড়’, ‘১, ২, ৩, ৪, আওয়ামীলীগ নো মোর, ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, নাহিদ ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, ওয়াসিম সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

শেয়ার করুন:-
শেয়ার