বাংলাদেশের উদীয়মান আইন গবেষক ও সমাজকর্মী বারিস্টার তাজিন নূয়েরী আনোয়ার কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ে (টিএমইউ) পিএইচডি প্রোগ্রামে পূর্ণ স্কলারশিপে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি “পলিসি স্টাডিস (মাইগ্রেশন ল)” বিষয়ে গবেষণা করবেন এবং এই স্কলারশিপটি তিনি অর্জন করেছেন কানাডা ফার্স্ট রিসার্চ এক্সেলেন্স ফান্ডের আওতাধীন ব্রিজিং ডিভাইডস ইনিশিয়েটিভ থেকে।
তাঁর গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো অভিবাসন আইন ও অভিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা-একটি এমন ক্ষেত্র যা মানবিকতা, আইন এবং মানসিক কল্যাণকে একসূত্রে যুক্ত করে।
তাজিন নূয়েরী ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন (ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম) থেকে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড, ব্রিস্টল থেকে এলএল.এম এবং বার প্রফেশনাল ট্রেনিং স্টাডিজ (বিপিটিএস) সম্পন্ন করেন।
তিনি ব্রিটিশ স্কুল অফ ল-এ লেকচারার ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ শপআপ-এ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। আইন, অভিবাসন নীতি ও শ্রম অধিকার নিয়ে তিনি জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লেখালেখি করেন।
বারিস্টার তাজিন নূয়েরীর স্বামী মো. জিয়াউল হক ভুইয়াঁ, যিনি শপআপের চিফ অব স্টাফ এবং জেসিআই বাংলাদেশের সাবেক জাতীয় সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চানের কন্যা।
‘ব্রিজিং ডিভাইডস’ স্কলারশিপটি কানাডার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ গবেষণা অনুদান কর্মসূচি। নির্বাচিত পিএইচডি শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৩৪ লাখ টাকা) করে চার বছর পর্যন্ত অনুদান পান। অভিবাসন, অন্তর্ভুক্তি ও নীতিনির্ধারণমূলক গবেষণায় এই তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তাজিন নূয়েরী বলেন, এই স্বীকৃতি আমার একার নয়। এটি এমন এক সুযোগ, যার মাধ্যমে আমি মানবিক অভিবাসন নীতির পক্ষে কাজ করতে পারব-যেখানে আইনি অধিকার ও মানসিক স্বাস্থ্য একসঙ্গে বিবেচিত হবে। আমার পরিবারের সদস্যরা এই পুরো যাত্রায় যেভাবে পাশে থেকেছেন, আমি তাঁদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
কাফি