ক্যাটাগরি: মত দ্বিমত

যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও সততা: সত্যিকারের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি

গণতন্ত্র শব্দটি উচ্চারণ করা যত সহজ, তার নৈতিক ভার বহন করা ততটাই কঠিন। আমরা প্রায়শই গণতন্ত্রকে বুঝি একটি নির্বাচনী পদ্ধতি হিসেবে—যেখানে জনগণ ভোট দেয়, সরকার গঠিত হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ধারণ করে নীতি। কিন্তু এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা যদি গড়ে ওঠে অসৎ, প্রভাবশালী কিংবা অর্থবিত্তনির্ভর প্রার্থীদের মধ্যে, যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নয় বরং ক্ষমতার ভাগাভাগি করতে আসে—তবে সেটি গণতন্ত্রের বিজয় নয়, বরং তার পরাজয়।

নির্বাচন তখন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে ভোটের বাক্সে পড়ে থাকে মানুষের প্রত্যাশা, অথচ উত্থিত হয় দুর্নীতির দাপট, গোষ্ঠীস্বার্থের বিভাজন আর নৈতিক শূন্যতা। কেবল ভোট গ্রহণের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না—যদি সেই ভোটে জনগণের সামনে প্রকৃত পছন্দ না থাকে, যদি প্রার্থী বাছাই হয় অনৈতিক, দলীয় সুবিধা ও টাকার বিনিময়ে—তবে গণতন্ত্রের ভিত নিজেই ধসে পড়ে।

একটি মানচিত্র রাষ্ট্র হতে পারে মাত্র কাগজে-কলমে, কিন্তু একটি জাতিকে গণতান্ত্রিক করতে হলে চাই এমন নেতৃত্ব, যারা জনগণের হৃদয় থেকে উঠে আসে। চাই এমন নেতৃত্ব, যার ভিত্তি নীতিতে, দায়বদ্ধতায় ও মানবিকতায় গাঁথা। কারণ গণতন্ত্র কেবল ভোটের সংখ্যা নয়—গণতন্ত্র মানে মানুষের প্রতি আস্থা, নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধা, এবং ভবিষ্যতের প্রতি প্রতিশ্রুতি।

গণতন্ত্রের কথা যখন বলি, তখন আমাদের চোখে ভেসে ওঠে ব্যালট বাক্স, ভোটার সারি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, কিংবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক রূপরেখা। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই দৃশ্যপটটি কি যথেষ্ট?

একটি ভোটগ্রহণ যদি নিয়মমাফিক, শান্তিপূর্ণ ও সময়মতো অনুষ্ঠিত হয়, তবু যদি সেই নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া হয় অনৈতিক, স্বার্থান্বেষী এবং পুঁজিশ্রেণিনির্ভর, তাহলে সেই গণতন্ত্রের ভিত কতটা দৃঢ়? গণতন্ত্র কি কেবল সেই কাঠামো, যেখানে টাকার জোর, গোষ্ঠীর ক্ষমতা ও দলীয় আনুগত্যই মনোনয়নের মানদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়? তাহলে সেখানে জনগণের ভূমিকা কী? একজন ভোটার কি শুধু সংখ্যার অংক, না কি তিনি জাতির নৈতিক ভবিষ্যতের রচয়িতা? নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যদি জনগণের সামনে প্রকৃত বিকল্প না থাকে—যদি প্রার্থী বাছাই হয় সৎ, যোগ্য ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে নয়, বরং দুর্নীতি, ভয় এবং ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতায়—তাহলে সেই গণতন্ত্র একটি নিঃসাড় প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।

রাষ্ট্র গঠন করা যায় সীমান্ত টেনে, পতাকা টাঙিয়ে, সংবিধান লিখে। কিন্তু একটি জাতিকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক জাতিতে রূপ দিতে হলে চাই নৈতিকতা, যোগ্যতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নেতৃত্ব। চাই এমন নেতৃত্ব, যারা জনগণের ভালোবাসা অর্জন করে; যারা ব্যালট পায় ভয় দেখিয়ে নয়, আস্থা জাগিয়ে। কারণ গণতন্ত্র মানে কেবল সরকার গঠন নয়—গণতন্ত্র মানে মানুষের মর্যাদা, ভবিষ্যতের প্রতি নৈতিক দায়, আর নেতৃত্বের চরিত্রের ওপর জাতির বিশ্বাস স্থাপন।

কেমন প্রার্থী চাই—জনগণের প্রতিনিধি না হলে কিসের গণতন্ত্র? গণতন্ত্র কেবল সংখ্যার খেলা নয়, এটি হলো বিশ্বাস ও প্রতিনিধিত্বের পবিত্র চুক্তি।

কিন্তু সেই চুক্তি তখনই অর্থহীন হয়ে যায়, যখন নির্বাচনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন না—বরং হয়ে ওঠেন দল, ধনিকশ্রেণি বা গোষ্ঠীস্বার্থের বাহক।

প্রকৃত গণতন্ত্র চায় মানবিক, বিবেকবান, এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব—যেখানে একজন প্রার্থীর পরিচয় হবে তাঁর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সততা, জবাবদিহি ও জনসেবার মানসিকতা দিয়ে।

একজন যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে থাকতে হবে:

• জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবার সাহস,
• এলাকার সমস্যা বোঝার জ্ঞান ও আন্তরিকতা,
• সংসদে গিয়ে নীতিনির্ধারণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার সক্ষমতা,
• এবং—সবচেয়ে জরুরি—নিজেকে দেশ ও মানুষের সেবায় উৎসর্গ করার অটল মানসিকতা।

তিনি জনপ্রিয় নন, হবেন প্রাসঙ্গিক। তিনি বড় পোস্টারে নয়, থাকবেন মানুষের বিশ্বাসে। তাঁর পরিচয় হবে না কোনো মিডিয়া-মেড প্রভাবশালী নেতা হিসেবে, বরং তিনি হবেন আস্থা, সততা ও সক্রিয় দায়বদ্ধতার প্রতীক।

তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনীত হবেন না, তাঁকে মনোনীত করবে জনতার বিবেক। এবং এটি কোনো কল্পলোকের আকাশকুসুম ভাবনা নয়—এটি আমাদের ন্যায্য দাবি। জনগণের দাবি, গণতন্ত্রের দাবি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দাবি। কারণ, যদি প্রতিনিধি না হন জনগণেরই, তবে তিনি কিসের প্রতিনিধি?

যদি তাঁর হৃদয়ে না থাকে মানুষের জন্য ব্যথা, তবে তাঁর হাতে ব্যালট তুলে দেওয়া মানে নিজেদের ভাগ্য নিজ হাতে নষ্ট করা। গণতন্ত্রকে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র করতে হয়, তাহলে নেতা হতে হবে আদর্শের, প্রতিশ্রুতির, এবং সেবার প্রতীক—ক্ষমতার নয়।

ভয়মুক্ত ভোটাধিকার—গণতন্ত্রের প্রাণস্পন্দন। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মূলে আছে ভোটারদের ভয়মুক্ত ও স্বাধীন নির্বাচনাধিকারের মর্যাদা। কোনো নাগরিক যেন কোনো ভয়, হুমকি, দমনে বা লোভ-প্রলোভনে আটকা পড়ে ভোট দিতে বাধ্য না হয়—এটাই হতে হবে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অপরিহার্য শর্ত। ভোটার যখন ভোট দেয়, তখন তাঁর হাতে থাকতে হবে একটি শক্তিশালী অস্ত্র—বিবেকের স্বাধীনতা ও গর্বের অনুভূতি। ভোট হতে হবে ভয়ভীতির নয়, বরং নিশ্চিত বিশ্বাসের প্রকাশ। আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ভোটারের পছন্দের ওজন আছে, তাঁর ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, এবং তাঁর ভোটই নির্ধারণ করে দেশের ভবিষ্যৎ পথচলা। কেউ যেন না বলে—“আমার ভোট কোনো কিছু বদলাতে পারে না।”

ভোটের আগে ছড়িয়ে পড়তে হবে ভয়ের নয়, আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহের জোয়ার। ঘরে ঘরে, কমিউনিটি থেকে শুরু করে সমাজের সর্বত্র যেন শোনা যায়—“আমি ভোট দেব কারণ আমি বিশ্বাস করি।” এমন বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য দরকার এমন প্রার্থী, যাঁরা সত্যিকার অর্থে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন, যাঁরা ভোটারের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রতিফলন। ভয়মুক্ত ভোটাধিকার হলে গণতন্ত্র বাঁচে, শক্তিশালী হয়, এবং মানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হয়। এটাই হবে আমাদের ন্যায্য অধিকার, আমাদের জাতির গৌরব।

এই অচল অবস্থা থেকে উত্তরণের পাঁচটি রূপান্তরমূলক পথ;

গণতন্ত্রের বর্তমান সংকট কোনো সাময়িক সমস্যা নয়—এটি একটি নৈতিক, কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চাইলে শুধু প্রতিরক্ষা নয়—পুনর্নির্মাণ করতে হবে গণতন্ত্রকে, গড়ে তুলতে হবে এমন এক কাঠামো যা নেতৃত্বে আনে সততা, প্রজ্ঞা ও জনকল্যাণ। এ জন্য জরুরি পাঁচটি নির্ভুল ও অনিবার্য পরিবর্তন—যা একযোগে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অংশগ্রহণকে নতুন করে গড়ে তুলবে:

১. নৈতিক নীতিমালা-ভিত্তিক মনোনয়ন প্রক্রিয়া: রাজনীতিতে নৈতিক ফিল্টার চাই।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবকাশ নেই। তাদের অবশ্যই এখনই যৌথভাবে একটি ন্যূনতম নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে। অতীতে দুর্নীতি, সহিংসতা বা ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িত—এমন কেউ মনোনয়নের যোগ্য হতে পারেন না। নৈতিকতা আর দলীয় আনুগত্যকে এক পাল্লায় তোলা যাবে না। এই শর্তটি হতে হবে অনড়, অচলযোগ্য এবং সর্বজনগ্রাহ্য।

২. নির্বাচন কমিশনের তথ্য যাচাই ও সর্বজনীন উন্মোচন: গোপন নয়, স্বচ্ছতা চাই।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব শুধু ভোট আয়োজন নয়, নির্বাচনের নৈতিক কাঠামো নিশ্চিত করাও তার কাজ। প্রার্থীদের আর্থিক, সামাজিক ও আইনগত পটভূমি—সহ সব তথ্য কঠোরভাবে যাচাই করতে হবে। এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে, যাতে ভোটাররা অন্ধ নয়, সচেতনভাবে ভোট দিতে পারেন। ভোটার যেন জানেন—আমি যাকে ভোট দিচ্ছি, সে কে? তাঁর অতীত কী? তাঁর জনসেবা কতটা প্রমাণিত?

৩. “Public Scrutiny Platform”: জনগণের হাতে নেতার হিসাব চাই।

একটি স্বাধীন ও সর্বজনসম্পৃক্ত “Public Scrutiny Platform” গঠনের আহ্বান জানাতে হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ মিলে প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করতে পারবে। এটি হবে নাগরিক পর্যায়ে একটি জবাবদিহিমূলক শক্তি, যেখান থেকে কেউ রেহাই পাবে না। রাজনীতিকে বাঁচাতে হলে—নেতাদেরও মানুষের সামনে দাঁড়াতে হবে খোলা হাতে ও খোলা চোখে।

৪. রাজনৈতিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে সংযুক্তি: সচেতন নাগরিক ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন।

রাজনৈতিক অশিক্ষা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। আজ আমাদের দরকার রাজনৈতিক সাক্ষরতা (Political Literacy)—যাতে নতুন প্রজন্ম বুঝে তাদের অধিকার, দায়িত্ব ও রাষ্ট্রের কাঠামো। এই বিষয়টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রমেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যেন ছাত্রছাত্রীরা বড় হয়ে কেবল পাস নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরীক্ষায়—নাগরিকত্বে—পাস করতে পারে।

৫. তরুণ সমাজ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নৈতিক জাগরণ: নেতৃত্ব ফিরিয়ে আনুক তার আসল রূপ।

এই সময়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তরুণদের বিবেক ও তাদের প্রশ্ন করার সাহস। তাঁরা শুধু ভোটার হয়ে থাকবে না—হবে পরিবর্তনের মূল চালক। তাঁরা প্রচার চালাক, বিতর্কে যুক্ত হোক, সৎ প্রার্থীর জন্য গণজোয়ার তৈরি করুক—এভাবেই শুরু হবে নতুন ধারার রাজনীতি। নেতৃত্ব কেবল অভিজ্ঞতায় নয়—নৈতিকতাতেও জন্ম নিতে পারে, এবং সেই জন্ম দিতে পারে আজকের শিক্ষার্থী, আজকের তরুণ, আজকের সোচ্চার নাগরিক। এই পাঁচটি স্তম্ভ দিয়েই গড়ে উঠতে পারে একটি নৈতিক, জবাবদিহিমূলক ও মানবিক গণতন্ত্র। এটা কোনো স্বপ্ন নয়, এটা এখন সময়ের দাবি। এবং এই দাবির পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস আজ আমাদের সবার থাকা উচিত। আমরা কী চাই—সুন্দর নির্বাচন, না সৎ নির্বাচন?

আমরা যেন আর কেবল “সুষ্ঠু নির্বাচন চাই” এই নিরাপদ বাক্যে আটকে না থাকি। আমরা বলি—“আমরা চাই এমন নির্বাচন, যেখানে প্রার্থীরা হবেন নৈতিক, যোগ্য ও জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি।” আমরা আর “কম খারাপ” কে বেছে নেওয়ার সংস্কৃতি চাই না। আমরা চাই, “সেরা মানুষটি”—সততার প্রতীক, জনসেবার সৈনিক, মানুষের আশা ও আস্থার বাহক—তাঁর হাতে তুলে দিতে দায়িত্ব।

এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি নৈতিক।এটি কেবল একটি ভোট নয়—এটি একটি জাতির আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য তখনই ফুটে ওঠে, যখন তা কেবল নিয়ম নয়—প্রতিটি মানুষের মঙ্গলচিন্তার আঙিনায় দাঁড়ায়। এবং সেই গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ তখনই উজ্জ্বল, যখন নেতৃত্বের ভিত্তি হয় সততা, দায়িত্ব ও ভালোবাসা। গণতন্ত্র মানে কেবল ব্যালট নয়—এটি বিবেকের প্রতি শ্রদ্ধা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর সাহস।

রাজনীতি যদি সৎ মানুষের জায়গা না হয়, তবে অসৎ মানুষের আসন নিশ্চিত হয়। যেখানে ভালো মানুষ চুপ থাকে, সেখানেই দুর্নীতি কথা বলে। এখনই সময়—নির্বাচনের নামে চলা প্রহসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। এখনই সময়—যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও সততার পক্ষে কণ্ঠ মেলানোর। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার একটাই উপায়— তাকে নৈতিকতা দিয়ে পূর্ণ করা, মানুষ দিয়ে অর্থবহ করা, এবং বিবেক দিয়ে পরিচালিত করা।

রহমান মৃধা
লেখক ও গবেষক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
rahman.mridha@gmail.com

শেয়ার করুন:-
শেয়ার