বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, বৃহত্তর ফরিদপুর ও নোয়াখালী জেলার সাবেক আমীর মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর।
মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। ৬ জুলাই বাদ আসর কেন্দ্রীয় অফিস সংলগ্ন চাঁন জামে মসজিদে প্রথম জানাযা অননষ্ঠিত হবে। এছাড়া, আগামীকাল ৭ জুলাই সকাল ৯টায় নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মাওলানা রফি উদ্দিন আহমাদের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক যুক্ত শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তারা বলেন, মাওলানা রফি উদ্দিন আহমাদ একজন উঁচু মানের সংগঠক ছিলেন। তিনি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বৃহত্তর নোয়াখালী ও ফরিদপুর অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনকে একটি মজবুত ভিত্তি লাভ করাতে সক্ষম হন। মূলত তিনি কৈশোর বয়স থেকেই কুরআন ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠনের কঠিন সময়গুলোতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে তিনি তাঁর জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতা দিয়ে সংগঠনকে অনন্যভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমরা তাঁর ইন্তিকালে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি।
প্রদত্ত শোকবাণীতে তারা আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। এই দাঈ ইলাল্লাহর জীবনের গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। চিরদিনের যে সফর শুরু হল, এ সফরে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি রহম করুন, রহমতের ফেরেশতাদেরকে দিয়ে তাঁকে সাহায্য করুন। আল্লাহ তাআলা তাঁর বারযাখ ও জান্নাতের জিন্দেগি প্রশান্তিময় করুন। তাঁর এই গোলামকে প্রিয় গোলামদের মধ্যে শামিল করে জান্নাতের আলা দারাজা দান করুন। মরহুমের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদেরকে আল্লাহ তাআলা সবরে জামিল আতা করুন। আমিন।