প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এটি বাস্তবায়নে তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই। প্রতিটি সংস্কারেরই অনিশ্চয়তা থাকে। সে কারণে রাজনীতিবিদদের চোখে সংস্কারকে দেখলে হবে না। বাংলাদেশীরা সৌভাগ্যবান। তাদের সামনে বারবার সুযোগ এসেছে। কিন্তু কোনো সুযোগকেই কাজে লাগাতে পারেনি। তাই সংস্কারকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। নইলে অনিশ্চয়তা চলে আসবে। কারণ সংস্কার ব্যর্থ হলে পরিণতি ভালো হয় না।’
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই ব্রোকার্স আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, অতীতের কোনো সরকার ক্যাপিটাল মার্কেটকে মেইন স্ট্রিমে এনে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা দরকার মনে করেনি। তবে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে চিন্তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে যে নেগেটিভ ইক্যুয়িটির বিষয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে লিখিত কমিটমেন্ট নিয়ে এটা আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। অনেকে আলোচনা সমালোচনা করছেন সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেই। যে কোনো পলিসির সাইড ইফেক্ট আছে, সেটা পজিটিভ বা নেগেটিভ। পলিসি মেকারকে সেই চিন্তা করতে হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু এক সঙ্গে সব সমাধান করা যাবে না। একটা একটা করে সমাধান করতে হবে। রিফর্ম প্রসেসে এমন সময় লাগবে। রাজনীতিবিদরা সরকারকে প্রেসারে রাখার জন্য তাড়াহুড়া করে সংস্কার করতে বলে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা একটি সেক্টরের রিফর্ম নয়। এটাকে সিস্টেমিক রিফর্ম বলে।
বলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অনেক বাংলাদেশী যুবক-তরুণ বিদেশে বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করার সুযোগ খোঁজে। তাই আগামী আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব আগ্রহী যুবক বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে তাদের আলোচনার সুযোগ থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবে, তাতে দেশের উন্নয়ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিডিবিএল চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী ও এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।