জাতীয়
গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়লো আরও ৬ মাস

আওয়ামী লীগ শাসনামলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার Commissions of Inquiry Act, 1956 (Act No.VI of 1956) এর সেকশন ৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে গঠিত গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এই প্রজ্ঞাপন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠিত হয়। বাকি সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

জাতীয়
কোনো নির্বাচনেই আর ইভিএম ব্যবহার হবে না: ইসি

আগামী জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি জানান, প্রবাসীদের জন্য ভোটদানে আসছে নতুন ব্যবস্থা- তারা এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যার জন্য একটি আলাদা রেজিস্ট্রেশন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই। সব নির্বাচনই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আয়োজন করা হবে।
সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আসন পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসনপ্রতি ৪ লাখ ১৮ হাজার থেকে ৪ লাখ ২২ হাজার ভোটার বিবেচনায় সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ঢাকা শহরে আসন সংখ্যা কমার সম্ভাবনা কম বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দল নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দলের কাগজপত্র সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ, তাদের মাঠপর্যায়ের যাচাই শিগগিরই শুরু হবে। অন্যদিকে, যাদের দাখিলকৃত তথ্য বা কাগজপত্রে ঘাটতি রয়েছে, তাদের ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে ঘাটতি পূরণে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, আইন অনুযায়ী, তপশিল ঘোষণার বাইরে যেকোনো সময় ভোটার তালিকা সংশোধন, পরিমার্জন বা হালনাগাদ করার ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ইসির বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচন ঘিরে সব বিষয়েই দুই কমিশনের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং আমরা অনেক বিষয়ে একমত অবস্থানে পৌঁছেছি।
শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্য ও এনসিপি- উভয় দল প্রতীকটির জন্য আবেদন করলেও তা তালিকাভুক্ত করা হয়নি। আবেদন যাচাইবাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। একই সময়ে নতুন করে ৩৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন করে মোট দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে, যেখানে ১০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এতে বলা হয়, এ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশে মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ১৪ জন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন করে, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে ১ জন করে মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
বন্যাদুর্গত এলাকায় নেই বিদ্যুৎ, বন্ধ মোবাইল নেটওয়ার্ক

ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারও মানুষ। এ দুই উপজেলার কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপাকে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন, ফুলগাজী সদরের কিসমত ঘনিয়ামোড়া, উত্তর শ্রীপুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, উত্তর নিলক্ষ্মী, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, গোসাইপুর, মন্তলা, গাবতলা, কহুমা, জগতপুর ও পরশুরাম উপজেলার ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পশ্চিম ঘনিয়ামোড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প কিছু দিয়ে চলা যায় কিন্তু ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকলে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে না। এ পরিস্থিতিতে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা আত্মীয়স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে যান। গত বছরের বন্যায়ও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। তারা জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ারগুলো সচল রাখলে মানুষের খুবই উপকৃত হতো।
এ নিয়ে পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার জানান, এ উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংযোগ দেওয়া হবে। তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সহসাই সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।
কাফি
জাতীয়
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওয়াং ই।
চীনা মন্ত্রী পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী এবং সহযোগী হতে চান তারা।
এছাড়া চীন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন জানায় বলে জানান তিনি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নয়নের পথ অন্বেষণেও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি দুই দেশের পুরোনো ইতিহাস এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশকে আধুনিক এবং উন্নত করতে চীন কাজ করতে চায়।
জাতীয়
জুনে ৬৭১ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭১১ জন

জুনে দেশে ৬৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯০২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলা হয়েছে, রেলপথে ৫৪টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৭৪৩টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯১৬ জন আহত হয়েছেন।
এই সময়ে ২২৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত ও ২১২ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ।
এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে–১৬০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সিলেট বিভাগে–২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
সড়কে দুর্ঘটনায় ১১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ২ জন চিকিৎসক, ২ জন প্রকৌশলী এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ২ জন চিকিৎসক, ২ জন প্রকৌশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার মধ্যে ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৯.৬৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩১.১৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৩.৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.০২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৮৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৭৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।