দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২৩ জুন) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৮২ কোটি ৩২ লাখ ডলার বা ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার (১৫ জুন) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল প্রায় ২ হাজার ৬১৫ কোটি ডলার বা ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর আইএমএফের নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
তার আগে গত ২৭ মে পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল প্রায় ২ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আইএমএফের নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৬ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
গত ২২ মে পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৬৪ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার বা ২৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী, এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার বা ২০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।
দেশের নিট (প্রকৃত রিজার্ভ) রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয় বিপিএম৬ মানদণ্ড অনুসারে। যেখানে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়।
চলতি জুন মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় দুই বিলিয়ন (১৯৯ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স। টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ ৪ হাজার ২৭৮ কোটি (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। আর প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার বা ১১৫৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুন মাসের প্রথম ২১ দিনে ১৯২ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আর চলতি মাস জুনের প্রথম ২১ দিনে এসেছে ১৯৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের একই সময়ে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি এসেছে। শতকরা হিসাবে চার শতাংশ বেশি এসেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে চলতি মাস জুনের ২১ তারিখ পর্যন্ত মোট ২৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।