মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে পতন

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে, যা মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শনিবার (২১ জুন) ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার সূচকগুলোর মধ্যে ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সামান্য ০.১ শতাংশ বাড়লেও, প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ০.২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রযুক্তি খাতের সূচক নাসডাক কম্পোজিট ০.৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রি দেখা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনে প্রযুক্তি সরবরাহে শর্তাবলী কঠোর করার সম্ভাবনা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ‘ডি-রিস্কিং’ অর্থাৎ ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ করতে শেয়ার বিক্রি করছেন।

৫০ পার্ক ইনভেস্টমেন্টসের বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সারহান বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অব্যাহত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় বিক্রি করছে।”

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও, শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমাতে ব্যাংকগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানি পর্যায়ে, যদিও ক্রোগার ও কারম্যাক্সের মতো কিছু কোম্পানির শেয়ার উন্নতি করেছে, তবুও সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনোবল কমেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অচলাবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়তে পারে, যা পুঁজিবাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার