আন্তর্জাতিক
ইরানকে দুই সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প

ইরানে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হামলা শুরুর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। গতকাল রাতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইরান–ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির মধ্যেই ইরানের হামলার অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের সপ্তম দিন। এদিন ও আগের রাতে ইরানে পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল। অন্যদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইসরায়েলের বিরসেবা শহরের একটি হাসপাতাল। তেল আবিবের কয়েকটি এলাকায়ও হামলা করা হয়। গতকাল রাত একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট গতকাল রাতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের বার্তা পড়ে শোনান। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, ইরান–ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সরাসরি যুক্ত’ হবে কি না, তা নিয়ে ‘নানা জল্পনাকল্পনা’ চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা না-ও হতে পারে। এর ওপর ভিত্তি করে (সংঘাতে) যাব কি যাব না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।’
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির ক্ষেত্রে ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ না করার বিষয়টি’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না।
এর আগে ইরানে হামলার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের অনুমোদনের খবর সামনে আনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে গতকাল সিবিএস জানায়, ইরানের ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা ভাবছেন ট্রাম্প। তবে ইরান নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলো বন্ধে রাজি হবে, এমন আশায় এখনো হামলা শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
গত বুধবার ইরান–ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন সংবাদিকেরা। স্পষ্ট জবাবের দিকে না গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটি করতে পারি, না–ও পারি।’ তবে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, তা পেন্টাগন বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত আছে বলে গতকাল মার্কিন সিনেট কমিটিকে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদনের খবরের দিকে ইঙ্গিত করে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ইরান নিয়ে তাঁর ভাবনা সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর কোনো ধারণা নেই।’
চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে চান, তা আগে থেকেই বলে আসছেন বিশ্লেষকেরা। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তিও বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। গতকাল পর্যন্ত মার্কিন একটি বিমানবাহী রণতরিসহ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ আরব সাগরে অবস্থান করছিল। আরেকটি রণতরি মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে। বেশ কিছু সামরিক উড়োজাহাজও ইউরোপ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের পথে রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে হামলা চালায়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোয় তেহরান হামলা শুরু করতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রিটা পারসি। সিএনএনকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে লড়াই দীর্ঘমেয়াদি হলে তেহরান হয়তো শেষ পর্যন্ত টিকতে পারবে না। তবে লড়াইটা ওয়াশিংটনের জন্যও সহজ হবে না।
গত বুধবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলে আরাক শহরে অবস্থিত খোনদাব পরমাণু স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। পরমাণু স্থাপনার কাছে ভারী পানির একটি পারমাণবিক চুল্লিতেও হামলার দাবি করা হয়েছে। ভারী পানির চুল্লিগুলো প্লুটোনিয়াম তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এগুলো সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মতোই। নতুন করে হামলা হয়েছে নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায়ও।
তবে ভারী পানির ওই চুল্লিতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আওতাধীন পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খোনদাব পরমাণু স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে তারা।
এ ছাড়া গতকাল ও আগের দিন বুধবার রাতভর ইরানের বেসামরিক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে অনেকে আহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টসের হিসাবে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন।
তবে ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছে না ইরান। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, তখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২৭৭ জন।
সাত দিন ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র, গ্যাসক্ষেত্র, জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার, সম্প্রচারমাধ্যম, বিমানবন্দরসহ সামরিক-বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল ইরানের দুই–তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এফিন ডেফরিন।
গতকাল ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বিরসেবা শহরে সোরোকা হাসপাতাল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, সোরোকা হাসপাতাল নয়, কাছেই ইসরায়েলের একটি সামরিক ও গোয়েন্দা কার্যালয় ছিল তাদের লক্ষ্য। এর আগে সোমবার ইরানের কেরমানশাহ প্রদেশে একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
গতকাল ওই হামলার পর ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে যায়। আহত হন কয়েকজন। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, সোরোকা হাসপাতালসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ‘সন্ত্রাসী স্বৈরশাসকেরা।’ এ জন্য তাদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
গতকাল তেল আবিবেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। হামলায় বহুসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ। হামলায় তেল আবিবের কাছে রামাত গান এলাকায় কয়েকটি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাণিজ্যিক এই এলাকার বাসিন্দা ইয়ানিভ (৩৪) রয়টার্সকে বলেন, এটি ছিল ভয়ানক। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাঁর কানে তালা লেগে যায়। পুরো ভবন কেঁপে ওঠে।
রামাত গানে হামলার সময় সেখানে অবস্থিত লিথুয়ানিয়ার দূতাবাস ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পড়ে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল ইরানের হামলার জেরে কমপক্ষে ২৭১ জনকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। হামলায় ইসরায়েলে সর্বশেষ গত সোমবার ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল দেশটির সরকার।
চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে আবার হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা তাঁর লক্ষ্য…এমন একজন মানুষকে আর বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া যায় না।’ খামেনিকে হত্যা এই ‘যুদ্ধের’ একটি লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন কাৎজ। গত মঙ্গলবারও খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন কাৎজ।
খামেনিকে সম্ভাব্য হত্যার বিষয়ে বুধবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত অর্থনীতিবিষয়ক সম্মেলনের ফাঁকে ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি সবকিছুই শুনেছেন। তবে খামেনিকে হত্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করতে চান না। তিনি বিশ্বাস করেন, এই সংঘাত বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।
এরই মধ্যে গতকাল এক্সে একটি পোস্ট দেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, তেহরানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাইছে। এটা প্রমাণ করে ইসরায়েলের শাসনব্যবস্থা কতটা দুর্বল ও অক্ষম।
ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এই সংঘাতে যেন যুক্তরাষ্ট্র না জড়ায়, বিক্ষোভ থেকে সে দাবিও করা হয়। বুধবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল ‘ইরানে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন’, ‘গণহত্যায় অর্থ দেওয়া বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
নিউইয়র্কে বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শত শত মানুষ শহরটির ম্যানহাটান এলাকায় মিছিল করছেন। তাঁরা ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার হুমকি এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য সরকারের নিন্দা জানান।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চায় না রাশিয়াও। গতকাল ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে বলেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। গতকাল ফোনালাপ করেন ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ফোনালাপে চলমান সংঘাতে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী বলে জানান পুতিন। সি আহ্বান জানান ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির।
ইরান নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাক্ষাৎ করার কথা ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া আজ শুক্রবার ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইরান, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়ার অনুরোধে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক
আরও ৭ দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

বিশ্বের আরও ৭টি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একথা জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনসহ এই ৭টি দেশের ওপর মার্কিন শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৭টি দেশের পণ্যের ওপর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক আরোপ করবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঘোষণা করেছেন।
এর মধ্যে ফিলিপাইনের ওপর ২০ শতাংশ, ব্রুনেই ও মলদোভার ওপর ২৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা, ইরাক, আলজেরিয়া ও লিবিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই তথ্যগুলো ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল–এ প্রকাশিত চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন। সেসব চিঠি মূলত তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের নেতাদের উদ্দেশে পাঠিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে অগ্রসর হতে চাই, তবে সেটা হবে কেবল আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ভিত্তিতে।
ট্রাম্প আরও বলেন, এসব শুল্ক হার এখনো যথেষ্ট নয় যাতে ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি পুরোপুরি দূর করা যায়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যেসব পণ্য অন্য দেশের হয়ে অন্য মাধ্যমে পাঠিয়ে শুল্ক এড়ানোর চেষ্টা করা হবে, সেগুলোর ওপরও উচ্চ শুল্ক বসানো হবে। পাশাপাশি যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার জবাবে ওই দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে।
ট্রাম্পের ভাষায়, দীর্ঘদিন ধরে শুল্ক ও অশুল্ক নীতির মাধ্যমে এবং নানা বাণিজ্যিক বাধার কারণে আমাদের বিপক্ষে যে অস্থিতিশীল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা শুধরাতেই এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।
এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি সপ্তাহের শুরু থেকে বিভিন্ন দেশের প্রতি নতুন শুল্ক হার সংক্রান্ত চিঠি পাঠাবেন। আগেই জানানো হয়েছিল, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে ১ আগস্ট থেকে।
পরে আরও ১২টি দেশের ওপর শুল্ক ঘোষণা করেন তিনি। সোমবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে এই নতুন শুল্ক নীতিগুলো ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে বাড়ি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা

সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীরা ২০২৬ সাল থেকে দেশটির নির্দিষ্ট অঞ্চলে সম্পত্তি কিনতে পারবেন। সৌদি সরকার সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নতুন আইন পাস করেছে। এর আওতায় বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোকে সৌদির নির্দিষ্ট এলাকায় সম্পত্তি কেনার অনুমতি দেওয়া হবে।
কোথায় বাড়ি কেনা যাবে?
প্রথম ধাপে যেসব এলাকায় বিদেশিদের সম্পত্তি কেনা অনুমোদিত হবে, তার মধ্যে রয়েছে:
> রিয়াদ
> জেদ্দা
>আরও কিছু নির্ধারিত অঞ্চল, যেগুলোর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
তবে মক্কা ও মদিনায় সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে। এসব অঞ্চলে বাড়ি কিনতে হলে বিশেষ অনুমোদন লাগবে।
আইন কবে কার্যকর হবে?
এই নতুন আইন ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এর আগে সৌদি সরকার ‘ইস্তিতা’ নামে একটি পরামর্শমূলক ওয়েবসাইটে ১৮০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নিয়মকানুন ও অনুমোদিত এলাকার তালিকা প্রকাশ করবে, যেখানে জনমত গ্রহণ করা হবে।
কারা কিনতে পারবে?
> বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো এই আইনের আওতায় সম্পত্তি কিনতে পারবে।
> বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এই উদ্যোগকে দেশের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০–এর অংশ এই পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে দেশটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ; আবাসন ও বাণিজ্যিক ভবনের জোগান বাড়ানো; রিয়াদ, জেদ্দা ও নিওম-এর মতো প্রকল্পগুলোকে সহায়তা দেওয়া এবং সৌদি নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য বিনিয়োগ সহজ করা লক্ষ্য পূরণ করতে চায়।
এখন কী করবেন প্রবাসীরা?
> সরকারি নিয়ম ও অনুমোদিত এলাকা সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য ‘ইস্তিতা’ প্ল্যাটফর্মে নজর রাখুন।
> ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিস্তারিত নিয়ম প্রকাশিত হবে।
> যেসব ডেভেলপার নতুন এলাকায় প্রকল্প শুরু করবে, তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুবাই, আবু ধাবি, দোহার মতো শহরগুলো আগে থেকেই বিদেশিদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় সম্পত্তি কেনার সুযোগ দিয়েছে এবং এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে। সৌদি আরবও যদি একই পথ অনুসরণ করে, তাহলে রিয়াদ ও জেদ্দা হয়ে উঠতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন বিনিয়োগ হটস্পট।
আন্তর্জাতিক
আমিরাতে ‘লাইফটাইম গোল্ডেন ভিসা’ দেওয়ার খবরটি গুজব

বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরা কোনো ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘লাইফটাইম গোল্ডেন ভিসা’ পাবেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো এমন খবরগুলো গুজব বলে জানিয়েছে আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। কাউকে এ ধরনের গুজব ও ভুয়া বিজ্ঞাপনের ফাঁদে না পড়তে এবং কোনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ প্রদান বা ব্যক্তিগত নথিপত্র জমা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়ামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘নির্দিষ্ট কিছু জাতীয়তাবিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য আজীবন গোল্ডেন ভিসা’ দেওয়া হচ্ছে—এমন খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আমিরাতের ফেডারেল অথোরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এক বিবৃতিতে জানায়, দেশটির গোল্ডেন ভিসার জন্য যে শ্রেণি, শর্ত ও নিয়ম রয়েছে, তা আইনি কাঠামো, প্রযোজ্য আইন ও মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত। এসব তথ্য আইসিপির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশনে বিস্তারিত পাওয়া যায়।
কর্তৃপক্ষ আরও স্পষ্ট করে জানায়, গোল্ডেন ভিসার আবেদন কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভেতরে সরকারি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমেই করা সম্ভব। কোনো অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদিত আবেদন প্রক্রিয়াকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি বিদেশভিত্তিক কনসালটেন্সি অফিস ‘সব শ্রেণির মানুষ আজীবন গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন’—এমন দাবি করে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আমিরাত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় ছাড়াই করা হয়েছে।
আইসিপি জানায়, তারা নিরাপদ ও স্বচ্ছ সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই সেবার মান উন্নয়নের কাজ করছে। একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ সবাইকে অনুরোধ করেছে—যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, বসবাস বা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, তারা যেন এ ধরনের গুজব ও ভুয়া বিজ্ঞাপনের ফাঁদে না পড়েন এবং কোনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ প্রদান বা ব্যক্তিগত নথিপত্র জমা না দেন।
এর আগে, একাধিক ভারতীয় সংবাদম্যধমের খবরে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের জন্য নতুন একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াই আজীবন বসবাসের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিকরা।
তবে আমিরাতের কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এ ধরনের কোনো প্রকল্প চালু করেনি। এসব খবর পুরোপুরি ভুয়া।
আন্তর্জাতিক
শুল্ক নিয়ে কোনো ধরনের ছাড় বা সময়সীমা বদলাবে না: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা পণ্যের ওপর ঘোষিত নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার সময়সীমা আর পেছাবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকেই এসব শুল্ক পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক হবে এবং কোনো ধরনের ছাড় বা সময়সীমা বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে না।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, গতকাল যেসব দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং আজ, আগামীকাল ও সামনের কিছুদিনেও যেসব চিঠি পাঠানো হবে, সবগুলোতে পরিষ্কার বলা আছে—শুল্ক সংগ্রহ শুরু হবে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে। এই তারিখে কোনো পরিবর্তন আসেনি এবং আসবেও না। অর্থাৎ, ১ আগস্ট থেকেই সব অর্থ পরিশোধযোগ্য হয়ে যাবে। কোনো ধরনের সময় বাড়ানো হবে না।
এর আগে, গত ৭ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ওপর আমদানি শুল্কের নতুন হার ঘোষণা করেন। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশ শুল্ক পড়েছে মিয়ানমার ও লাওসের ওপর। বাংলাদেশকে ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই দেশগুলোর বাণিজ্য সম্পর্ক ‘অসম’ এবং তাদের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এই শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই জানিয়েছেন, এই সময়সীমা ‘শতভাগ চূড়ান্ত নয়’। অর্থাৎ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমঝোতা হলে শুল্কহারের পরিবর্তন হতে পারে।
আন্তর্জাতিক
গোল্ডম্যান স্যাক্সের সিনিয়র উপদেষ্টা হলেন ঋষি সুনাক

বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্সের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ব্যাংক খাত ভূ-রাজনৈতিক ও নিয়ম-কানুনের অনিশ্চয়তায় থাকায়, অভিজ্ঞ এই নীতিনির্ধারকের যোগদান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গোল্ডম্যান স্যাক্সে ঋষি সুনাকের এই নিয়োগ একধরনের প্রত্যাবর্তনও বটে। ২০০০ সালে তিনি প্রথম গোল্ডম্যান স্যাক্স গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্ন হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্লেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গোল্ডম্যান স্যাক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড সলোমন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ভূমিকায় তিনি আমাদের বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে পরামর্শ দেবেন এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ শেয়ার করবেন।’
রয়টার্স জানায়, এই পদক্ষেপটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ারধারার ইঙ্গিত দেয়। প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারা প্রায়ই আর্থিক খাতে প্রবেশ করেন। তাদের নীতিগত অভিজ্ঞতা ও বৈশ্বিক সংযোগকে এই খাতে কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর আগেও যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন ব্ল্যাকরকে উপদেষ্টা হিসেবে এবং সাজিদ জাভিদ সেন্ট্রিকাস বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে পার্টনার হিসেবে যোগ দেন।
বর্তমানে, ব্যাংকগুলো এমন অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ তারা ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠা বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্লায়েন্টদের গাইড করতে চায়।
সুনাক ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর (চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার) দায়িত্বে ছিলেন।
২০২৪ সালে লেবার পার্টির কেয়ার স্টারমারের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাফি