জাতীয়
রেফারির মতো কাজ করব, যারা খেলবে খেলুক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা রেফারির মতো কাজ করব। যারা খেলবে খেলুক, যারা জিতবে জিতুক।
আজ রবিবার (১৫ জুন) নির্বাচন ভবনে ঈদ পরবর্তী মতমিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নিতে ইসির ভূমিকা নিয়ে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়ে গেছি, যত কাজ বাকি আছে তা সবাইকে মিলে করতে হবে। আজকে মতবিনিময় সভায় আপনাদের হাজির করলাম- আমাদের শপথ হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। ’
এ সময়ে একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চান বলেও জানান সিইসি।
তিনি বলেন, লন্ডন, জাপানসহ বিশ্বনেতাদের বলে যাচ্ছেন, আমরা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। বিশ্বব্যাপী ওয়াদা দিচ্ছেন আমাদের ওপর আস্থা আছে বলে এমন ঘোষণা দিচ্ছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘রমজানের সময়ও ওয়াদা করেছেন সুন্দরভাবে কাজ করবেন। আজকেও পুনর্ব্যক্ত করব দয়া করে, আজকের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করার, আইন অনুযায়ী কাজ করার ও ন্যয় সঙ্গভাবে কাজ করার। ’
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন আরও বলেন, আমরা রেফারির ভূমিকায়, আমরা রেফারির মতো কাজ করব। যারা খেলবে খেলুক; যারা জিতবে জিতুক। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হবে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
মতমিনিময় সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানের সময় দায়ের করা ১২ মামলার চার্জশিট দিলো পুলিশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় দায়ের মামলার মধ্যে ১২টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলায় তিনটি এবং অন্যান্য ধারায় ৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চার্জশিট দেওয়া হত্যা মামলার মধ্যে তিনটিই শেরপুর জেলার। অন্যান্য ধারার ৯টি মামলার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তিনটি, সিরাজগঞ্জ জেলার দুটি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্তাধীন দুটি।
এসব মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাগুলো তদারক করছেন। অন্য সকল মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতীয়
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশন সদস্যরা জানান।
ঐকমত্য কমিশন সদস্যদের তাদের অনন্য ভূমিকা ও প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি বৈঠক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো দেখতে পাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। কাজেই পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। মানুষের কাছে এভাবেই দৃশ্যমান থাকতে হবে, যোগ করেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে ৮টি বিষয়ে আলোচনার পর ঐকমত্য হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। এ ছাড়া, আরও সাতটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চলমান আছে বলেও জানান।
জাতীয়
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় বাড়লো

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পুরো গোপালগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে।
গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবার কারফিউ বহাল থাকবে।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দীন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার পরিজন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সোহেল তাজ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় সোহেল তাজের বড় বোন শারমিন আহমদ সঙ্গে ছিলেন।
সাক্ষাতের বিষয় নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সোহেল তাজ এবং শারমিন আহমদের একটি ছবি পোস্ট করেন।
ছবিটি পোস্ট করে শফিকুল আলম লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ এবং একমাত্র পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
জাতীয়
ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশ অনুমোদন

ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে খসড়ায় কী কী বিষয় রয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
অনদিকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়াও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই খসড়ায় নতুন কী কী বিষয় রয়েছে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।