অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে যাত্রা করেন।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই যুক্তরাজ্য সফরে বাংলাদেশের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের কথা তুলে ধরেছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে এক স্ট্যাটাসে তিনি যে অর্জনগুলোর কথা জানিয়েছেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রধান উপদেষ্টা রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ‘কিং তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে তার ৩০ মিনিটের একটি একান্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। শফিকুল আলমের মতে, এটি জুলাই আন্দোলন এবং বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া যুগান্তকারী পরিবর্তনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস সচিব এই বৈঠককে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য একটি গেমওভার মুহূর্ত‘ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যা দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক শীর্ষ সহযোগীর ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে। এনসিএ কর্মকর্তারা এটিকে সংস্থাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্পদ জব্দের ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। এটি সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য আরও গভীর সহযোগিতার পথ তৈরি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী কাজে লাগানো যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ব্যাপারে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বলে শফিকুল আলম উল্লেখ করেছেন।
গত ১০ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন পৌঁছান। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।