ক্যাটাগরি: মত দ্বিমত

বিবেকহীনতার বাজারে সৎ থাকা মানেই ব্যর্থতা

বাংলাদেশের সমাজে যখন অনৈতিকতা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় পরিণত হচ্ছে, তখন একজন বিবেকবান মানুষের জীবন হয়ে ওঠে এক নিঃশব্দ প্রতিরোধের গল্প। চারপাশের মানুষ যখন “স্মার্টনেস” আর “চালাকির” আড়ালে প্রতারণাকে সাজিয়ে তুলে, তখন সত্যকে ধারণ করা এক ধরনের সামাজিক আত্মদহন। এই দেশে আজ পিতা সন্তানের পরীক্ষার ফল নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, সন্তানের সততা নিয়ে ততটা নন। শিক্ষক হয়েও অনেকে নীতিকথার চেয়ে নোটবিক্রিকে গুরুত্ব দেন। ব্যবসায়ীরা ভেজালকে ‘কৌশল’ হিসেবে উপস্থাপন করেন। রাজনীতি হয়ে উঠেছে জনসেবার নয়, লোভ ও প্রভাব বিস্তারের খেলা। আর এইসব ভিড়ের ভেতরে যে ক’জন মানুষ এখনো সত্য বলার সাহস রাখেন, ন্যায় পথে চলার চেষ্টা করেন—তাঁদের সমাজ ‘বোকার রাজ্যে রাজা’ বলেই গণ্য করে।

কিন্তু একজন বিবেকবান মানুষের যন্ত্রণা শুরু হয় অন্য জায়গা থেকে। তিনি ভুল করলে, সেটা মেনে নিতে পারেন না—নিজেকে বারবার প্রশ্ন করেন, “আমি তখন একটু সাহস দেখালে কী হতো?” অন্যরা ভুল ভুলে যায়, কিন্তু বিবেক তাকে ভুলতে দেয় না। প্রিয় মানুষদের ভুল দেখেও চুপ থাকতে হয় তাঁকে—কারণ যাকে ভালোবাসেন, তার পথভ্রষ্টতা দেখেও কিছু করতে না পারার অসহায়তা জ্বালায় হৃদয়কে। আবার যখন তিনি সত্য বলেন, সতর্ক করেন, তখন তাঁর কথাগুলো বাতাসে মিলিয়ে যায়—উল্টো মানুষ হাসে, বলে, “এই আদর্শ দিয়ে পেট চলে?” ফলে সমাজের অস্বীকৃতি আর কটাক্ষ তাকে ধীরে ধীরে নিঃশব্দ করে দেয়।

সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা আসে তখন, যখন ভুলের ফলস্বরূপ তার প্রিয়জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়—কারো চাকরি চলে যায়, কারো সম্মান ধুলায় মিশে যায়, কেউ হয়তো অপরাধের দায়ে আইনের মুখোমুখি হয়। অথচ তিনি নিজে সেই ভুলের অংশ ছিলেন না—তবুও ভালোবাসার টানে, মানবিকতার দায়ে তাঁর কষ্টও কম হয় না। এই সহভোগিতা হয়তো কারও চোখে পড়বে না, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তা ক্ষয় করে তাঁর মনকে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এই লড়াই চলে—অবশেষে এক ক্লান্তি এসে চেপে বসে তাঁর হৃদয়ের উপর। কেউ খোঁজ নেয় না, “তুমি কেমন আছো?” সমাজ ধরে নেয়, তিনি তো ঠিকই আছেন—কারণ তিনি চিৎকার করেন না। কিন্তু ভেতরে চলে এক নীরব অবসাদ, যে বিষণ্ণতায় কথা বলে না, শুধু হ্রাস করে মানুষের আলো।

এমন অসংখ্য মানুষ আছেন যারা বিদেশে পরিশ্রম করে উপার্জন করতে পারেন, কিন্তু দেশে ফিরে সৎ পথে আয় করতে গেলে লজ্জায় পড়েন। কারণ আমাদের সমাজ পদবি দেখে, পেশা নয়। প্রবাসে ক্লিনারের কাজও সম্মানের, দেশে চায়ের দোকান দিলে উপহাস। অথচ মূল প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল—“এই আয় কি সৎভাবে হয়েছে?” তা না হয়ে আমরা জিজ্ঞেস করি—“এই আয় কি অনেক হয়েছে?” আমরা ভদ্রতার মুখোশে লুকিয়ে দুর্নীতিকে মর্যাদা দিই, আর সততাকে দারিদ্র্যের প্রতীক বানিয়ে ফেলি।

এই মানসিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সহজ নয়। কারণ সমাজ প্রতিনিয়ত বলে, “সবাই করে, তুমিই বা বাদ যাবে কেন?” কিন্তু এখানে ভুলটা স্পষ্ট—যদি সবাই ভুল করে, তাতে কি ভুলটা সঠিক হয়ে যায়? যদি সবাই ঘুষ নেয়, তবুও একজন যখন না বলেন, তখনই সমাজে পরিবর্তনের প্রথম স্পন্দন শুরু হয়। একজন ব্যাংক কর্মকর্তা যদি প্রতিদিনের ‘স্পিড মানি’র লোভে না পড়ে, তিনিই তো নীতির পক্ষে দাঁড়ালেন।

সমাজের সম্মান এখন আর নীতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না, বরং কার গাড়ি কত দামি, কে কত বড় অফিসে কাজ করে—তা দিয়েই সম্মান মাপা হয়। একজন সৎ মুদি দোকানদারকে দেখা হয় তাচ্ছিল্যের চোখে, অথচ এক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারকে আমরা নিমন্ত্রণ করি, হাসিমুখে গ্রহণ করি। শিক্ষা আমাদের ডিগ্রি দেয়, কিন্তু শ্রমের মর্যাদা শেখায় না—ফলে একজন তরুণ ফ্রিল্যান্সারও আত্মীয়স্বজনের চোখে “বেকার” হয়ে যায়, যদিও সে কারও ঘুষ খায় না, নিজের পরিশ্রমেই বাঁচে।

যদি সত্যিই চাই, সমাজ বদলাতে, তাহলে নতুন প্রজন্মকে চোখে দেখাতে হবে মূল্যবোধ। বাবারা যদি ঘরে ঘুষ দিয়ে, মিথ্যা বলে সন্তানদের ‘সৎ হও’ বলেন, তবে তা কার্যকর হবে না। একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, একজন কৃষক, একজন সৎ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা—তাঁরাই যেন হোন শিশুদের রোল মডেল। বইয়ে নয়, জীবনের গল্পে শেখাতে হবে, সততা মানে দুর্বলতা নয়—সততা মানে সাহস।

এবং সেই সাহসী মানুষদের সামনে আনতে হবে—যাঁরা আড়ালে থেকে বাঁচেন সত্যের শক্তিতে। মিডিয়া ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তাঁদের গল্প ভাইরাল করতে হবে, যেন তরুণরা বুঝতে পারে—এই পথও সম্ভব। একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি ঘুষের সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন, তাঁকেই বানাতে হবে জাতীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একজন শিক্ষক যদি নিয়মমাফিক সময়মতো ক্লাস নেন, তিনিই হোন রোল মডেল।

কারণ যদি সৎ মানুষরা লজ্জা পায়, মুখ লুকিয়ে থাকে, তবে দুর্নীতির জয় অনিবার্য। সমাজের ভিত রক্ষা করতে হলে, সৎ মানুষদের আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মাথা উঁচু করে বলতে হবে—“আমি ছোট আয় করি, কিন্তু কারও টাকা খাই না।” সেটাই বড় গৌরব, সেটাই আসল স্বাধীনতা।

এমন কিছু মানুষ ইতিমধ্যেই আছেন আমাদের চারপাশে। যেমন, ঢাকার মিরপুরে আলতাফ হোসেন—একজন চা-ওয়ালা, যিনি অতিরিক্ত এক পয়সাও নেন না। একদিন তার দোকানের সামনে এক মানিব্যাগ পড়ে থাকে—ভিতরে চল্লিশ হাজার টাকা। সবাই বলেছিল, রেখে দাও। কিন্তু তিনি তা ফেরত দেন, খুঁজে বের করে। তাঁর দোকানে এখন দ্বিগুণ কাস্টমার—কারণ মানুষ বিশ্বাস করতে চায়, সৎ মানুষ আজও আছে। আলতাফ বলেন, “টাকা দিয়ে ইজ্জত কেনা যায় না, কিন্তু ইজ্জত থাকলে টাকা আসবেই।”

আছে রুনা আক্তার—একজন গ্রামের তরুণী, যিনি ইউটিউব দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখে এখন ১৫ নারীর কর্মসংস্থান করেছেন। প্রথমে কাঁথা সেলাই করে ডেটার টাকা জোগাড় করতে হতো, কিন্তু কখনো অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি বলেন, “আমি শুধু টাকা নয়, মানসিক শান্তিও চাই। সৎভাবে উপার্জনই আমাকে রাতে নিশ্চিন্ত ঘুম দেয়।”

আছে রফিকুল ইসলাম—পাবলিক সার্ভিসে উত্তীর্ণ হয়েও ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফিরে গেছেন নিজের গ্রামে। এখন তিনি অর্গানিক কৃষিকাজ করেন, অন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘সততা কৃষি’ শুধু ব্যবসা নয়, এক আন্দোলনের নাম। তিনি বলেন, “আমি রাষ্ট্রের চাকরি করিনি, কিন্তু সমাজের জন্য কিছু করছি—সেটা আমার কাছে অনেক বড়।”

এইসব গল্প তাঁদের জন্য, যারা মনে করেন, “সবাই চুরি করলে আমিও করব কেন?” কিংবা যারা এখনো দ্বিধায় আছেন, সত্যের পথ ধরবেন কি না। এইসব মানুষদের দেখে মনে হয়—সৎ থেকেও সম্ভব, মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়।

কারণ সৎ উপার্জন কখনো ছোট নয়। তা ছোট আয় হতে পারে, কিন্তু তাতে থাকে ঘুম, থাকে গর্ব, থাকে আত্মমর্যাদা। আমরা যদি সম্মান দিই ছোট কাজকে, সাহস দিই সৎ মানুষদের, শ্রদ্ধা করি নিজের বিবেককে—তবে সমাজও আমাদের প্রতিদান দেবে।

বিবেক হারালে শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি সমাজ হারিয়ে যায়। আর যখন একজন সৎ মানুষ নিজের দুর্বলতা ভুলে মাথা তুলে দাঁড়ান, তখন সমাজের ভিত নড়ে না—তা আরও শক্ত হয়।

কিন্তু এই সত্য-নিষ্ঠ জীবন সবসময় বাহবা পায় না। সমাজ প্রায়শই এই মানুষদের উদাহরণ বানিয়ে রাখে, অনুসরণ করার জন্য নয়—দেখিয়ে দেওয়ার জন্য যে “ভালো থাকলেও ভালো থাকা যায় না।” যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে চাকরি হারায়, যারা ঘুষ নেয় না বলে বদলি হয়, যারা সৎ পথে থাকায় উন্নতির পথ আটকে যায়—তাদের আমরা কেবল করুণার চোখে দেখি। অথচ করুণা নয়, তাঁদের প্রাপ্য ছিল শ্রদ্ধা। কারণ তাঁরা হেরে গেলেও তাঁদের অবস্থান ভুল ছিল না। তাঁরাই বলেন, “আমি আপস করিনি,” আর এই কথাটিই একদিন আমাদের সন্তানদের গর্বের উপাখ্যান হয়ে উঠতে পারে।

একটা শিশু যখন দেখে, তার বাবা সৎ থেকেও পিছিয়ে পড়ে, তার শিক্ষক ঘুষ না নিয়ে গরিব থাকে, তখন সে প্রশ্ন করে, “বাবা, সৎ হলে যদি এমন হয়, তবে আমি হব কেন?” তখন আমরা যদি শুধু বলি, “তুই শুধু নিজের বিবেকটা ঠিক রাখ”—তা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে সমাজের কাঠামোকেই এমনভাবে গড়তে হবে, যাতে সৎ থাকাটাও সফলতার উপায় হিসেবে প্রতিভাত হয়। নচেত আগামী প্রজন্ম আরও বেশি আত্মকেন্দ্রিক ও সুবিধাবাদী হয়ে উঠবে, যারা ভাববে—“আমার লাভই চূড়ান্ত সত্য।”

তাই এখন সময় সৎ মানুষের নীরবতা ভাঙার। তাঁদের গল্প শুধু পরিবারে নয়, জাতির সামনে তুলে ধরার। সাংবাদিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা—সবার দায়িত্ব একটাই হওয়া উচিত: নায়ক বানাতে হবে সত্যবাদীদের। সিনেমার পর্দায় চোর যদি স্টাইলিশ হয়, বাস্তব জীবনের সৎ মানুষকে আমরা যদি উপহাস করি, তাহলে তরুণেরা কার পথ অনুসরণ করবে? পরিবর্তন আনতে হলে আমাদেরকে নতুন কল্পনা তৈরি করতে হবে—যেখানে নৈতিকতা দুর্বলতা নয়, বীরত্ব। যেখানে অর্থ নয়, শ্রদ্ধাই চূড়ান্ত মাপকাঠি।

অনেকে বলেন, এই দেশে কিছুই হবে না। অনেকে বলেন, “ব্যবস্থা’টাই এমন।” কিন্তু এই ব্যবস্থাটা গঠিত হয় আমাদের চুপচাপ মেনে নেওয়া থেকে। আমরা যদি একবার নির্ভয়ে বলি, “না”—তবে সেই ব্যবস্থাও বদলায়। একজন বাসচালক যদি বাড়তি ভাড়া না নেন, একজন ছাত্র যদি প্রশ্ন ফাঁস হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষা না দেয়, একজন সাংবাদিক যদি গোপন ডিল প্রত্যাখ্যান করেন—তবে আমাদের সন্তানরা জানবে, বিকল্প পথও আছে।

সেই বিকল্প পথ সহজ নয়—এটা জানি। তবে এই পথেই শান্তি আছে। কারণ রাত শেষে একজন মানুষ যখন আয়নায় তাকান, আর নিজের চোখে নিজের ভয়ের চিহ্ন না খুঁজে পান, তখন তিনি জানেন—তাঁর জীবন ছোট হতে পারে, কিন্তু তা সঠিক। যেখানে টাকা, পদবি, খ্যাতি—সবই একদিন ফুরিয়ে যাবে, সেখানে একমাত্র অবিনাশী জিনিসটি হলো আত্মমর্যাদা।

তাই এই লেখাটি শুধু কষ্টের নয়, এক অনুরোধেরও। যদি আপনি এখনো সততার পথ বেছে নিচ্ছেন, কিংবা নিতে চান, তবে জানবেন—আপনি একা নন। সমাজের চারপাশে ছড়িয়ে আছেন আরও অনেকে, যারা চুপচাপ, দৃঢ়ভবে সত্যকে ধারণ করে আছেন। আপনাকে কেবল তাঁদের খুঁজে নিতে হবে। এই নীরব সেনানিরা মুখর হয়ে উঠলেই সমাজ বদলায়।

আমরা চাই এমন একটি সমাজ, যেখানে একজন কর্মচারি ঘুষ না নিয়ে বাড়ি ফিরলে স্ত্রী বলেন, “তোমার সততাই আমার গর্ব।” যেখানে একটি শিশুকে প্রশ্ন করা হয় না, “তোমার বাবা কী করেন?” বরং বলা হয়, “তোমার বাবা কেমন মানুষ?” যেখানে আয় নয়, আয়বিধি বড় কথা। আর যেখানে একজন মানুষের বিবেক, তাঁর পেশা নয়, মানুষ হওয়াটাকেই সংজ্ঞায়িত করে।

একটি সমাজে যেখানে নৈতিকতা বিসর্জন দেওয়া যেন সাফল্যের সবচেয়ে সহজ রাস্তা, সেখানে বিবেক নিয়ে বেঁচে থাকা মানে এক ধরণের নিঃশব্দ, অদৃশ্য যন্ত্রণা বয়ে বেড়ানো। এ এক পাঁচ স্তরের গভীর অনুভূতির গল্প, একজন বিবেকবান মানুষের যাত্রা কেবল নৈতিক সিদ্ধান্তের নয় — এটি এক অন্তর্গত যন্ত্রণারও। এই যাত্রা সাধারণত পাঁচটি স্তরে গঠিত হয়। প্রথমত, অনুশোচনা—নিজের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বা ভুল আচরণের জন্য অন্তরদহন। দ্বিতীয়ত, অসহায়ত্ব—প্রিয়জনের ভুল দেখেও কার্যত কিছু করতে না পারার বেদনা। তৃতীয়ত, হতাশা—নিরন্তর সতর্কতা সত্ত্বেও সমাজের শ্রবণহীনতা ও উপহাস। চতুর্থত, সহভোগিতা—ভুল না করেও ভালোবাসার মানুষদের কষ্টে মানসিক যন্ত্রণাভোগ। আর পঞ্চম স্তরে আসে বিষণ্ণতা ও ক্লান্তি—ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এক অভ্যন্তরীণ মৃত্যু, যা সমাজ কখনো দেখে না, জানতেও চায় না, যা বাংলাদেশের বহু মানুষ নীরবে বহন করে যাচ্ছেন।

এই লেখাটি শেষ হচ্ছে, কিন্তু যে প্রশ্নটি শুরুতে ছিল, তা থেকে যাচ্ছে—আপনি কি সত্যিই ভাবেন, সততা দিয়ে বাঁচা যায় না? নাকি আপনি এখন একটু হলেও অনুভব করছেন, যে বাঁচা মানে কেবল আয় নয়—বাঁচা মানে হৃদয় নিয়ে বাঁচা?
যদি উত্তর হয় ‘হ্যাঁ’, তাহলে আপনি নিজেই এক সম্ভাবনার নাম।

লেখক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন

শেয়ার করুন:-
শেয়ার