চরম সংকটে থাকা পুঁজিবাজার ঘিরে বাজেটে যে আশার আলো খুঁজছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হয়নি। টানা দরপতন আর কমে যাওয়া লেনদেনে বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারে প্রত্যক্ষ কোনও প্রণোদনা না থাকায় বিনিয়োকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিলো বাজেটে শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে কার্যকর ও স্পষ্ট উদ্যোগ থাকবে, থাকবে মূলধনি মুনাফা বা লভ্যাংশ আয়ে কর রেহাই। তবে ঘোষিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো উদ্যোগ না থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেনে। বাজেট ঘোষণার পরের দিনেই প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ও অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) ডিএসইতে ২২৯ কোটি ০৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরআগে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিলো।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৪ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৬৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে ১০১৭ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৯ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১৭৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৩টি কোম্পানির, বিপরীতে ২৩৯ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
এসএম