বিদায় বরিশাল, ফাইনালের পথে ঢাকা

বিদায় বরিশাল, ফাইনালের পথে ঢাকা
জিতলেই কেবল টিকে থাকবে আশা। হারলেই বাদ। এমন এক সমীকরণের ম্যাচে সোমবার দারুণ খেললেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ভর করে তাই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বেক্সিমকো ঢাকা। তবে একটা সময় আফিফ হোসেনের ঝড়ের কারণে এ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিলো না ঢাকার।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য শফিকুল ইসলাম ও মুক্তার আলির বোলিং নৈপুণ্যে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ম্যাচ জিতে বরিশালকে বিদায় করে এ টুর্নামেন্টের কোয়ালিফাইয়ারে জায়গা করে নিলো ঢাকা। দিনের পরের ম্যাচে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরাজিত দলটির বিপক্ষে ফাইনালে টিকিট পেতে মঙ্গলবার লড়বে মুশির দল। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।

ঢাকার বিপক্ষে ১৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪১/৯ রানে ইনিংস গুটায় বরিশাল। দলের হয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে একাই লড়াই করেছেন তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। ১৭তম ওভারে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ে বরিশালের জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে তিন চার ও চারটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন।

আফিফ আউট হওয়ার পর বরিশালের জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। রুবেল হোসেনের করা ১৮তম ওভারে ১০ রান নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ১৯তম ওভারে শফিউল ইসলাম ১৫ রান খরচ করলেও তুলে নেন মাহিদুলের উইকেট।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। মুক্তার আলীর করা ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি মেহেদী মিরিজ। তিনি ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন। তার আগে ১০ বলে করেন ১৫ রান। ৮ বলে ১৫ রান করেন মাহিদুল। ৯ রানের জয় পায় ঢাকা। দুই উইকেট নেন আল-আমিন।

নাঈমের বিদায়ের পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিনের করা প্রথম ওভারের প্রথম বল ডট দেন আল-আমিন। দ্বিতীয় বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ৬ রানে নাঈম শেখ ও আল-আমিনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সাব্বির রহমান রুম্মন বোল্ড হন সোহরাওয়ার্দী শুভর স্পিনে। তার বিদায়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি।

দলীয় স্কোর বাড়াতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে আউট হন মুশফিক। ১২.৪ ওভারে ৭২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ৩০ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক।

মুশফিকের বিদায়ের পর ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আকবর আলী (২১)। এরপর মুক্তার আলীর সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে আউট হন ইয়াসির আলী। তার আগে ৪৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান। তার ফিফটিতেই ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে