পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীতকরণসহ ৯ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর আগাঁরগাওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর আমন্ত্রণে তার সাথে আলোচনায় বিএমবিএর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাক্ষাতে বিএমবিএ প্রতিনিধিগণ অন্যান্য বিষয়ের সাথে নিম্নোক্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন:
১. দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারকে অগ্রাধিকার প্রদানে সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ;
২. আইপিও রুলস যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীতকরণ;
৩. পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নেগেটিভ ইক্যুইটি সমস্যার সমাধানে সরকারি নীতিগত সহায়তা;
৪. তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি করা;
৫. মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ;
৬. লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত কর নির্ধারণে অগ্রিম কর্তনকৃত কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা;
৭. বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মার্জিন ঋণ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা;
৮. সরকারি/বহুজাতিক ভালো কোম্পানীসমূহকে তালিকাভুক্তিকরণে নীতিগত সহায়তা;
৯. ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের আকার ৩০০০ (তিন হাজার) কোটি টাকায় উন্নীতকরণ ও ঋণ পরিশোধের সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ;
এসময় ড. আনিছুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পুঁজিবাজার এর উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। প্রধান উপদেষ্টার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়ন একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বর্পূণ। সরকার মার্চেন্ট ব্যাংকের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রাসঙ্গিক নীতিগত সহায়তা প্রদানে ইতিবাচক। পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিএমবিএ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেন। পরিশেষে, সার্বিকভাবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।