পুঁজিবাজার
ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসাবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ও উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণের ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও, সভায় আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি এবং যেসকল কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ, সেসব কোম্পানিতে ‘কর্পোরেট গভার্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর অনুমোদন দিলো বিএসইসি
দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হিসেবে নিবন্ধন সনদ পাওয়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে সিএসই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশন সভায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভ রেগুলেশন, ২০২৫ প্রবিধানমালা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রবিধানমালাটি অনুমোদনের ফলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালু করতে পারবে। ফলশ্রুতিতে দেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করা যায়। যা পুঁজিবাজারের বৈচিত্রায়নকে অধিকতর ত্বরান্বিত করবে।
কমোডিটি মার্কেট অপারেশন চালুর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার ডেরিভেটিভ পণ্যের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যা নিঃসন্দেহে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক বলে মনে করে বিএসইসি।
সিসিএ’র সুদের ২৫ শতাংশ অর্থ যাবে ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে
সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ ‘স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে’ জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী স্বার্থ সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) হতে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে রেখে পরিচালনা করে। এই হিসাবে থাকা অব্যবহৃত বা বিনিয়োগ না হওয়া টাকার উপর ব্যাংক সুদ দিয়ে থাকে। এতদিন পর্যন্ত এই সুদ আয় পুরোপুরি ব্রোকাররা নিয়ে নিত। এখন সেই সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ ব্রোকারদের কাছে থাকবে।
জিপিএইচ ইস্পাতের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে সন্তুষ্ঠ হতে পারেনি কমিশন। ফলে তাদের রাইট সংক্রান্ত আবেদনটি বাতিল করা হয়।
কোম্পানিটি ১ অনুপাত ৩ হারে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাথে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ২৪১ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ২৭৫ টাকা নিতে চেয়েছিলো। এর মাধ্যমে নতুন করে বাজার আরও নতুন ১৬ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৫ টি সাধারণ শেয়ার আসতো।
বার্জার পেইন্টসের রাইট শেয়ার অনুমোদন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ অনুপাত ১ হারে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগ করার পর) মোট ৩০২ কোটি ৮২ লাখ ৩ হাজার ২১০ টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে।
বার্জার পেইন্টস রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন ও রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য ব্যবহার করবে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত
পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও একাউন্ট খুলতে মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, বিও হিসাবের মেইনটেইন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাবলিক ইস্যু ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুপারিশের আইনি প্রক্রিয়া শুরু
মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা এবং পাবলিক ইস্যু রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস এর বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনী প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী দুটি সংস্কারের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলশ্রুতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এই সংস্কারের ফলে আগামীতে ভালো ও মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
এসএম

পুঁজিবাজার
৯ ব্রোকারেজ হাউজ-মার্চেন্ট ব্যাংকের অনিয়ম তদন্তে বিএসইসির কমিটি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ ও দুইটি মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি, অনুমোদন ছাড়া লেনদেনসহ সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক নয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- সিটি ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, জয়তুন সিকিউরিটিজ, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ ও ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ। এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক দুটি হলো- আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত আদেশগুলো জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিএসইসির জারি করা আদেশ সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ ও দুইটি মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফিস আদেশে জানিয়েছে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে উল্লেখিত ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমতদন্ত করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন উল্লিখিত ব্রোকারেজ হাউজ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার) বিধিমালা, ১৯৯৬ এর বিধি ৩২ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন উল্লিখিত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক পৃথক তিনজন করে কর্মকর্তাকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করবেন এবং কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবেন। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের দুইটি হার্ড কপি এবং একটি সফট কপি কমিশনে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে পরিপালন করছে কি-না খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিসটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্ত কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে কমিশন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সূত্র মতে, গঠিত তদন্ত কমিটি স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কি-না বা কোনো প্রকার অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
একইসঙ্গে মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেতিবাচক ইক্যুইটি, প্রভিশনস (মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল), প্রভিশনসের ঘাটতি, অনুমোদন ছাড়া লেনদেনসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে তারা।
এদিকে, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সার্বিক কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। সেই সঙ্গে বড় গ্রাহক, ব্লক ও একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন, নগদ ও ব্যাংক হিসাব এবং প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইওসহ অন্যান্যদের ভূমিকাসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- জয়তুন সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির যুগ্ম-পরিচালক সুলতানা পারভীন, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও লামিয়া আখতার; সিটি ব্রোকারেজের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক আব্দুস সেলিম, সহকারী পরিচালক মো. শাকিল আহমেদ ও মো. ফয়সাল ইসলাম; ন্যাশনাল সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক এস এম আহসানুল কবির , সহকারী পরিচালক মো. আজিজুর রহমান ও সারা তাসনুভা।
এছাড়া, শান্তা সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, সহকারী পরিচালক মিথুন চন্দ্র নাথ ও শাকিলা সুলতানা; কেএইচবি সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল, সহকারী পরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. কামাল হোসেন; কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক মো. আব্দুস সেলিম, সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল ইসলাম ও মো. হাসান; ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক সানজিদা রহমান ও মাহমুদুর রহমান; আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের জন্য বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক অনু দে, সহকারী পরিচালক সৌভর মল্লিক ও ফারহান ওয়ালিজা; প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের জন্য বিএসইসির ডেপুটি পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দাস ও শাকিলা সুলতানা।
গঠিত তদন্ত কমিটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যাবলী খতিয়ে দেখবে। সেখানে কোনো অসঙ্গতি ঘটেছে কি-না তা যাচাই-বাছাই করবে। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকলে সেটাও চিহ্নিত করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।
এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকারের সামগ্রিক কার্যাবলী পরীক্ষা (মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম, হিসাব বই, রেকর্ড, অভিযোগ ইত্যাদি); মার্চেন্ট ব্যাংকারে শীর্ষ ক্লায়েন্টদের লেনদেন, ব্লক ট্রেড, সম্পর্কিত পক্ষের লেনদেন, নগদ এবং ব্যাংক লেনদেন পরীক্ষা; মার্চেন্ট ব্যাংকারের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমপ্লায়েন্স অফিসারের ভূমিকা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়নসহ এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।
একইসঙ্গে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শেষ হওয়া সময়ের জন্য ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক করবে।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৩ কোটি টাকার লেনদেন

ঈদ পরবর্তী প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ১৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪২ টি শেয়ার ৪৯ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৩ কোটি ২৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (১৫ জুন) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লাভেলোর ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনসিসি ব্যাংকের ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
শেয়ার কিনবেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক ফেরদৌস আলী খান ২ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করবেন তিনি।
এসএম
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
এসএম
পুঁজিবাজার
ফিনিক্স ইন্সুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯ টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ফিনিক্স ইন্সুরেন্স এর।
এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ২ টাকা বা ৮.৫৮ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পদ্মা লাইফ ইন্সুরেন্স এর দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭.২২ শতাংশ। আর ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৬.৯১ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে আনলিমা ইয়ার্ন ।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শ্যামপুর সুগার মিল ৬.৪৯ শতাংশ,নূরানি ডাইং ৬.২৫ শতাংশ, জুট স্পিনার্স ৫.৪৫ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি ৫.০০ শতাংশ,উত্তরা ফাইন্যান্স ৪.৯০ শতাংশ,নিউ লাইন ক্লদিং ৪.৬৯ শতাংশ এবং ফ্যামিলি টেক্স ৪.৩৫ শতাংশ কমেছে।
কাফি