পুঁজিবাজার সংস্কারে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর অবস্থান (তৃতীয় পাঠ)’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবহেলা ও বাজার কারসাজির কারণে এখানে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই সংকট চলমান রয়েছে। গত ১৬ বছরের পুঁজিবাজারে এর যে প্রকৃতমূল্য, তা ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন খাতে সংস্কার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে ৫টি চ্যালেঞ্জ আছে, তার মধ্যে রয়েছে- নিম্নমানের আইপিও, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম, বিও অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতার অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ ও সেকেন্ডারি মার্কেটে কারসাজি। এইগুলোর উন্নতি করতে হবে। গত ৯ মাসে ডিএসইতে বিভিন্ন সূচকের ওঠানামা দেখতে পাচ্ছি। ধারাবাহিকভাবে ডিএসই সূচক নিম্নমূখী থেকেছে। খুব দ্রুত তা ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। অভ্যন্তরীণ লেনদেনে কারসাজি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুর্বল নজরদারি, প্রযুক্তি ব্যবহার না করা, অপরাধ যারা করছে তাদের শাস্তির আওতায় না আনাসহ নানান কারণে পুঁজিবাজার শক্তিশালী হচ্ছে না।
ব্যাংকিং খাতে সুশাসন আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও বেসকারি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন ফাহমিদা খাতুন।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি