পুঁজিবাজারে চলমান সংকট নিরসনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠন ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের অস্পষ্ট বক্তব্য জনমনে বিতর্ক ও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। যা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।
মঙ্গলবার (২০ মে) সংগঠনের সভাপতি এস. এম. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মানিক স্বাক্ষরিত এক খোলা চিঠিতে এসব বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সাধারণ বিনিয়োগকরীদের হাত ধরে গড়ে উঠা বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) সংগঠনটি জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি, বিধান নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা’। এ প্রয়াসে বিসিএমআইএ বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। একই ব্যানারে পুঁজিবাজারের সকল অংশীজনকে সংগঠিত করে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়ে বিসিএমআইএ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক বিসিএমআইএ ছাড়াও আরও সংগঠন আছে। কিন্তু গতকাল আমাদের অর্থ উপদেষ্টা অস্পষ্ট কিছু কথা বলেছেন, যা জনমনে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। আমরা চাই রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তা খতিয়ে দেখা হোক। কারন পুঁজিবাজারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ জড়িত। এখানে সরকারের দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টা হিসেবে অনুমান বা গুজব নির্ভর কোন কথা বলা অর্থ হল কারো পক্ষ অবলম্বন করা। আমরা নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা ও সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং অংশীজনদের উদ্দেশ্য দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলতে চাই যে, সকল অন্যায়, অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরদ্ধে বিসিএমআইএ সংগঠন সর্বদাই সোচ্ছার। সর্বপরি, সরকার, নিরাপত্তাবাহিনী, সাংবাদিক-সহ দেশের সর্বস্তরের জনগনের প্রতি আমরা যার-পর-নাই কৃতজ্ঞ। আসুন, সু-শাসন, সংস্কার-দেশের উন্নয়নে-অংশগ্রহণে আমরা হই একই পথের পথিক।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম মানিক অর্থসংবাদকে বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট-ধারাবাহিক পতনে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এর একমাত্র কারণ বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যানের পুঁজিবাজার বিষয়ে জ্ঞানশুন্যতা ও যোগ্যতা। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া বিসিএমআইএ’র ব্যানারে কমিশনের চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করে আসছে। এতে সংগঠনের কোনো গোপন স্বার্থ নেই। বিসিএমআইএ পুঁজিবাজারের সার্বিক কল্যাণ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা একটি সংগঠন। তবে রাশেদ মাকসুদকে বহাল রাখতে অর্থ উপদেষ্টা সংগঠন ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে স্বার্থ বিষয়ক যে অস্পষ্ট কিছু কথা বলেছেন তা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃখজনক।
এসএম