কর্পোরেট সংবাদ
ঈদে দারাজের ৬.৬ বিগ ঈদ সেল শুরু

দেশের অনলাইন কেনাকাটার অভ্যস্ততা যে শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়, গ্রাম-গঞ্জেও তা এখন ঈদের কেনাকাটার অন্যতম মাধ্যম—তার বড় প্রমাণ হতে যাচ্ছে দারাজ বাংলাদেশের এবারের ঈদ আয়োজন, ৬.৬ বিগ ঈদ সেল। ২০ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ ক্যাম্পেইন, যেখানে শুধু ছাড়েই নয়, থাকছে ব্যতিক্রমী পুরস্কার, আকর্ষণীয় ভাউচার এবং ক্রেতা-ভিত্তিক চমকপ্রদ কনটেস্ট।
যেহেতু ঈদ-উল-আযহা মানেই কোরবানির প্রস্তুতি, পরিবার, আর ভালোবাসার মানুষদের জন্য কিছু কেনা—দারাজের এই সেলও সাজানো হয়েছে সেভাবেই। সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়, নির্দিষ্ট অর্ডারে ফ্রি ডেলিভারি, আর রয়েছে এমন একটি অফার, যেখানে একজন ক্রেতা জিতে নিতে পারেন একটি গরু। দারাজের জিতসেন ভাই; কনটেস্টটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা তৈরি করেছে। ২০ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সফল অর্ডার যার থাকবে, তিনি পাবেন একটি গরু এবং ক্রমানুসারে বাকি দুইজন পাবেন একটি করে ছাগল।
এছাড়াও ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন, ২০ মে রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে মিডনাইট ভাউচার ড্রপ যেখানে প্রথম ঘণ্টাতেই মিলবে সীমিত সংখ্যার হাই-ভ্যালু ভাউচার। একই দিনে চলবে “মেগা গিভঅ্যাওয়ে” কনটেস্ট, যেখানে সর্বোচ্চ সফল অর্ডার মূল্যের গ্রাহক জিতে নিতে পারবেন একটি এসি। কনটেস্ট এর বিস্তারিত জানা যাবে দারাজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে।
দারাজের জনপ্রিয় নিজস্ব চয়েস চ্যানেল থেকে যারা ঈদের কেনাকাটা করবেন, তাঁদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে আছে ৪টি পণ্য কিনলে ফ্রি ডেলিভারি এবং ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি গিফট। এর ফলে প্রতি অর্ডারেই তৈরি হচ্ছে সাশ্রয়ের সুযোগ।
নির্দিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পেমেন্টে থাকছে সর্বোচ্চ ১৫% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক বা ডিসকাউন্ট। অংশীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বিকাশ, নগদ, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, লংকাবাংলা, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ইএমআই পার্টনার হিসেবে এনআরবি ব্যাংক ও ইবিএল যিপ। এছাড়া ৭৯৯ টাকার বেশি অর্ডার করলেই মিলবে ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা—যা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে গ্রাহকের লাভের পরিমাণ।
দারাজ জানিয়েছে, ঈদ সেলের জন্য ব্র্যান্ড পার্টনারদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রিক্স রয়েছে প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে। প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড, ইউনিলিভার, হায়ার, লোটো এবং ওরাইমো—এরা অংশ নিয়েছে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে। আর গ্রুম লাভিনো, পার্পল কেয়ার, ইউগ্রিন বাংলাদেশ, মাইক্রোল্যাব, কুডি, ওয়েলেসিয়া, হিমালয়া, এসকেবি, নেসলে এবং ডাবর রয়েছে সিলভার ক্যাটাগরিতে। প্রতিটি ব্র্যান্ড দিচ্ছে বিশেষ ছাড় ইলেকট্রনিকস, গ্রোসারি, ফ্যাশন, হেলথ অ্যান্ড বিউটি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।
এদিকে, মে মাসেও দারাজের মাসিক আয়োজন সুপার ব্র্যান্ড ডে-এ রয়েছে ক্রেতাদের জন্য আলাদা চমক। এই মাসে ২০ মে হায়ার এবং ২৩ মে রেকিট বেনকিজার নিজেদের সেরা অফার নিয়ে থাকছে দারাজে—যা থাকবে কেবল ওই দিনগুলোর জন্য। ঈদের প্রস্তুতিতে অনেকেই এই ডিলগুলোকে কাজে লাগাবেন বলে প্রত্যাশা করছে দারাজ।
সারাদেশে দারাজের শক্তিশালী লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে—অনলাইন শপিং এখন শুধু শহরের না, বরং প্রতিটি জেলার জন্যও সময় ও খরচ বাঁচানোর নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। যারা ঈদের ভিড় এড়িয়ে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে চান, তাঁদের জন্য ৬.৬ বিগ ঈদ সেল হতে পারে সেরা সুযোগ।
সব অফার, ও আপডেট জানতে চেক করুন দারাজ অ্যাপ এবং চোখ রাখুন দারাজ বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে।
এসএম

কর্পোরেট সংবাদ
ছয় মাসে রূপালী ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গ্রাহকদের নিকট আস্থাশীল ব্যাংকসমূহের আমানত বৃদ্ধির ন্যায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকেরও আমানতসহ কয়েকটি সূচকে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত ৬ মাসে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটা বৃহৎ অংশকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে পেরেছে। উত্তম সেবার নিশ্চয়তা দিয়ে সারাদেশে শাখা ও উপশাখা নিয়ে গড়ে তুলেছে ব্যাংকটির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। ক্রমশই জনপ্রিয় হচ্ছে রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা। বিশেষ করে আমানতের ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্কীম।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম যোগদান করার পর রূপালী আস্থা, রূপালী শ্রদ্ধা ও রূপালী ডাবল বেনিফিট স্কিম নামে তিনটি আকর্ষনীয় স্কীম চালু করেছেন। ইতোমধ্যে নতুন হিসাব বেড়েছে প্রায় তিন লাখ এবং আমানত বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি এবং স্পর্শ করেছে ৭৮ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক।
দক্ষ ব্যাংকার কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম আর্থিক খাতে নিজেদের টেকসই অবস্থান নিশ্চিতকরণে খেলাপি ঋণ আদায়, নতুন হিসাব খোলা, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্ব।
রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের নিষ্ঠাশীল আনুগত্য ও ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রমাণ পাওয়া যায় গত ৬ মাসে ব্যাংকটির নতুন হিসাব খোলার সংখ্যা বিশ্লেষণে। যেখানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৩ বছরে ব্যাংকটির সক্রিয় একাউন্ট ছিল ৩০ লাখ, সেখানে ছয় মাসে নতুন একাউন্ট যুক্ত হয়েছে ৩ লাখ। বর্তমানে ৩৩ লাখ গ্রাহকের রূপালী ব্যাংক জাতীয় সঞ্চয়ের বড় অংশীদারে পরিণত হয়েছে। গত ছয় মাসে ৬৮ হাজার কোটি টাকা থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে ব্যাংকটির আমানত।
ব্যাংকটির বর্তমান অগ্রগতির কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বের কথা। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। অভিজ্ঞ পর্ষদের দিক নির্দেশনা এবং ২৭ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যাংকের একটি শক্তিশালী সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টীম প্রতিটি আর্থিক সূচকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটিকে। দেশীয় ও বৈশ্বিক নানামূখী অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মাঝেও ব্যাংকটির পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে মাসিক ২০ হাজার টাকা কিস্তিতেও ডিপিএস খোলা যাচ্ছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে

স্বল্প মেয়াদে একটু বেশি পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে চান এমন গ্রাহকরা এখন খুব সহজেই ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে বিকাশ অ্যাপ থেকে ডিপিএস খুলতে পারছেন ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সে। যারা নিকট ভবিষ্যতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে চান তাদের জন্য বেশ কার্যকর ছয় মাস মেয়াদী এই ডিপিএস।
আর্থিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করার লক্ষ্যেই বিকাশ তার প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবা। এরই অংশ হিসেবে ছয় মাস মেয়াদী ‘সাপ্তাহিক’ ডিপিএস চালুর পর, এখন নিয়ে আসা হলো ছয় মাস মেয়াদী ‘মাসিক’ ডিপিএস সেবা।
ঝামেলাহীন ডিপিএস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে নাগরিকদের মাঝে নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২১ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ডিপিএস নিয়ে আসে বিকাশ। বর্তমানে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ থেকে ছয় মাস মেয়াদে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস করতে পারছেন। উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপের ডিপিএস সেবায় আস্থা রেখে গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত খুলেছেন ৪০ লাখের বেশি ডিপিএস।
বিকাশ অ্যাপে ২০,০০০ টাকা মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস খোলার পদ্ধতি:
নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ রেখে অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংসের ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে এবং সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বাছাই করে প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক তা (২ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, বা ২০ হাজার টাকা) নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স অথবা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে।
এরপর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডিপিএস-এর বিস্তারিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ। উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপ থেকে যেকোনো গ্রাহক খুলতে পারেন একাধিক ডিপিএস।
প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এর টাকা কেটে নেয়া হয়। ডিপিএস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর ইন্টারেস্টসহ মূল টাকা চলে আসে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করা যায়। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক তা অ্যাপ থেকেই করতে পারবেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম

ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে “ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ইন আইবিবিপিএলসি: স্পেশাল ফোকাস অন ম্যানেজারিয়াল লিডারশিপ” শীর্ষক এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম কামালউদ্দীন জসীম। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান মিজির সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এন.এস.এম রেজাউর রহমান।
রিসার্চ পেপার উপস্থাপন করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমা বেগম। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান ও মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, সকল জোন ও শাখাপ্রধান উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিআইসিএম’র রিসার্চ সেমিনার

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) রিসার্চ সেমিনার-৪৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে “অরেঞ্জ বন্ডস অ্যান্ড জেন্ডার-ডিসাগ্রেগেটেড ইমপ্যাক্ট রিপোর্টিং: বেস্ট প্রাক্টিসেস, গ্যাপ্স অ্যান্ড রেলেভেন্স ফর বাংলাদেশ”- শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএমের প্রভাষক ফাইমা আক্তার।
আলোচ্য গবেষণা প্রবন্ধটির সহযোগী লেখক হিসেবে আক্তারের সাথে আরো রয়েছেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক এস. এম. কালবীন ছালিমা।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
রিসার্চ সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক শাবনাজ আমিন (অদিতি); লাইটক্যাসল পার্টনারস লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও বিজন ইসলাম; এবং ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জের বাংলাদেশের ডিরেক্টর-এডভাইজরি অ্যান্ড প্যার্টনারশিপ দেবাশীষ রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারজানা লালারুখ বলেন, পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আনার ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটি নতুন প্রোডাক্ট হিসেবে অরেঞ্জ বন্ড এর কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ ধরনের বন্ড অন্যান্য বিষয়ের সাথে সমাজের নারীদেরকে আরো বেশি ক্ষমতায়ন করবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা বর্তমানে সারা বিশ্বে চলমান যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এ ধরনের নতুন প্রোডাক্ট গ্রহণ করতে কতটুকু প্রস্তুত সেসব বিষয় বিবেচনা করে নতুন প্রোডাক্ট আনা হবে। বিআইসিএম-এর এ ধরনের গবেষণার ফলে নতুন প্রোডক্ট আনা আরো সহজতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়াও আলোচকগণ রিসার্চ সেমিনারে উপস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনা করেন। রিসার্চ সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ফয়সাল আহমেদ খান।
ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরীণ গবেষকদের গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিআইসিএম নিয়মিতভাবে রিসার্চ সেমিনার আয়োজন করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে রিসার্চ সেমিনার-৪৫ আয়োজন করা হয়। উক্ত রিসার্চ সেমিনারে ইন্সটিটিউটের সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স সেবা আরও সহজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক

দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্স সংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক। রোববার (২২ জুন) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কবীর আহমেদ ও হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন একচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের চেয়্যারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন। কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন মেটাতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানো সম্ভব। এনআরবিসি ব্যাংক সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। এজন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার একচেঞ্জ হাউজগুলোর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের শাখা, উপশাখাসহ বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের দোঁরগোড়ায় গিয়ে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। একচেঞ্জ হাউজগুলোর সহযোগিতায় রেমিট্যান্স সেবা সহজেই গ্রাহকদের কাছে পৌছে দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সভায় একচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহে বৈশ্বিক বাজারে বিপুল অঙ্কের লেনদেন হচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এই সেবা প্রতিনিয়ত সহজতর হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাংক এবং একচেঞ্জ হাউজগুলো একে অপরের সহযোগী হিসেবে এই রেমিট্যান্স সেবা প্রদান করছে। তবে প্রযুক্তিগত ও সেবার মান উন্নয়ন ঘটিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
কাফি