পুঁজিবাজার
মাকসুদ কমিশনের সময়ে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। তারপরেও আস্থা ফিরেনি বিনিয়োগকারীদের মাঝে। বরং আরও অনাস্থা তৈরী হয়েছে। এতে ধারাবাহিক পতনের ফলে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ১৮ আগস্ট কমিশনের পরিবর্তনের পরে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট। এসময় বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকার পুঁজি।
এই পতনের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অযোগ্যতা ও পুঁজিবাজার নিয়ে জ্ঞান শুন্যতাকে দায়ী করে আসছেন বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে শেয়ারবাজারের সব শ্রেণীর মানুষ। এমনকি বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এই কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। অন্যদিকে তার অপসারনের দাবিতে নিয়মিত রাজপথে বিক্ষোভ করে আসছে বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের এখন মূল দাবিই মাকসুদের পদত্যাগ। যার পদত্যাগেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের।
বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা বলেন, মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে ১০ আগস্ট বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পদত্যাগ করেন। এর ২দিন পরে ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন কমিশনার অধ্যাপক ড.শামসুদ্দিন আহমেদ ও ড. রুমানা ইসলাম। এরপরে গত ১৮ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান এবং ২৮ আগস্ট মো. আলী আকবরকে ও ৩ সেপ্টেম্বর ফারজানা লালারুখ বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজারে ভালো হবে প্রত্যাশা করা হলেও তা হয়নি। উল্টা নতুন কমিশনের নিয়োগের দিন থেকে শনিবার (০৩ মে) পর্যন্ত ডিএসইর ডিএসইএক্স কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট।
অথচ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ও মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূণ:গঠনের আগে শেয়ারবাজারে অনেক ভালো হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ওইসময় ৫ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত মূল্যসূচক বেড়েছিল ৬৭৫ পয়েন্ট। যা পরবর্তীতে বিএসইসিতে যোগ্য লোকের অভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি।
গত ১৮ আগস্ট খন্দকার মাকসুদকে বিএসইসিতে নিয়োগের দিন লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৯০৪ পয়েন্ট। যে সূচকটি শনিবার (০৩ মে) ৯৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে সূচকটি কমেছে ৯৮৬ পয়েন্ট বা ১৭ শতাংশ।
এদিকে, রাশেদ মাকসুদ বিএসইসিতে নিয়োগের দিন বাজার মূলধন বা সব সিকিউরিটিজের দাম ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। যা ৩ মে নেমে এসেছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায়। এই সরল হিসাবে বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজের দাম কমেছে ৫২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে আরও অনেক বেশি।
মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৫টি ট্রেজারি বন্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু করেছে। যেগুলোর দর বাজার মূলধনে যোগ হয়েছে। এখন ওইসব ট্রেজারি বন্ড যদি বাজার মূলধন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে অনেক বেশি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫টি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়েছে। যেগুলোর বাজার মূলধন বা সিকিউরিটিজের দাম আছে ৫৬ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। এসব দর মাকসুদ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে বাজার মূলধনে নতুন করে যোগ হয়েছে। এগুলো বাদ দিলে মাকসুদের নিয়োগের পরে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।
এসএম

পুঁজিবাজার
জিএসপি ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। যার ফলে আজ ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- জাহিন স্পিনিং, স্টাইলক্রাফট, জেনারেশন নেক্সট, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, এফএএস ফাইন্যান্স এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইন্দো-বাংলা ফার্মা

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৩৬টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১ টাকা বা ১০ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুন্ন সিরামিক। শেয়রটির দর ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, সি পার্ল বিচ, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, স্যালভো কেমিক্যাল, আমান কটন, লাভেলো আইসক্রিম এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ০৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার। আর ১০ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সি পার্ল বিচ, অগ্নি সিস্টেমস, খান ব্রাদার্স, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্ন সিরামিক, রিলায়েন্স ওয়ান দ্য ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড এবং ফাইন ফুড লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
২৩৬ শেয়ারের দরবৃদ্ধি, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষে হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান বেড়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৬ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭১৭ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ৭ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০৩১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৮ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ৩৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৬টি কোম্পানির, বিপরীতে ৯২ কোম্পানির দর কমেছে। আর ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
বোনাস লভ্যাংশ প্রদানে এখনো সম্মতি পায়নি ঢাকা ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ব্যাংকখাতে তালিকাভুক্ত ঢাকা ব্যাংক পিএলসির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বিতরণে এখনো সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ সমাপ্ত বছরের জন্য ঢাকা ব্যাংক ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো। যার মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ আগামি ২৫ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ সংক্রান্ত সম্মতি এখনো দেয়নি বিএসইসি। এর ফলে পূর্ব ঘোষিত কোম্পানিটির নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে। কিন্তু সম্মতি না পাওয়ায় বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করতে পারছে না ব্যাংকটি।
আইন অনুযায়ী বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে না। তাই বোনাস শেয়ার প্রদানে সম্মতি পেলে নতুন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ ও ঘোষণা করবে কোম্পানিটি।
এসএম