বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০৫ পয়সা। যা কোম্পানিটির পুনরায় লাভজনক অবস্থানে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ২০২৪ সালের প্রতিকূল অর্থনৈতিক বছর সমাপ্তের পর এটি কোম্পানির কৌশলগত পুনর্গঠনের সফল সূচনারও প্রতিফলন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। ঝূঁকিপূর্ন ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ হতে আদায়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত সংরক্ষিত প্রভিশন সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাথিমিকভাবে এই মূনাফা অর্জিত হয়েছে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ব্যায় নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক শৃঙ্খলা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিচালন দক্ষতার উন্নয়ন, যা কোম্পানির পুনর্গঠন প্রচেষ্টার প্রাথমিক সাফল্যের প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বিরাজমান অর্থনৈতিক সংকট এবং করোনোত্তর প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের উপর দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাবের প্রেক্ষাপটে, প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় একটি রক্ষণশীল নীতিমালা অনুসরণ করে- যার আওতায় সকল ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে বিগত অর্থবছরে পূর্ণাঙ্গ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যমান নীতি অনুসারে ধাপে ধাপে প্রভিশন সংরক্ষণের সুবিধা কিংবা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা হতে বিশেষ সুবিধার আশ্রয় না নিয়ে সকল ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ, পূঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট, মার্জিন ঋণের ঋণাত্মক ইক্যুইটি এবং স্থায়ী আমানত এর বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ প্রভিশন সংরক্ষণ করেছিল। যদিও এই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির স্বল্পমেয়াদে মুনাফার পাশাপাশি সকল আর্থিক সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল, তবে এটি ভবিষ্যতের টেকসই আর্থিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। এসব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটির সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
ভবিষ্যৎ আর্থিক ভিত্তিকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স তার মূল কার্যক্রমে দক্ষতা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তারল্য ব্যবস্থাপনা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পদের গুণগত মানোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে। পাশাপাশি, ঋণ বিতরণ কাঠামোতে বৈচিত্র্য আনতে প্রতিষ্ঠানটি বৃহৎ প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা খাতে অর্থায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শরিয়াভিত্তিক আর্থিক সেবার সম্প্রসারণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া আরও বেগবান করার পাশাপাশি, ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
একটি শক্তিশালী ভিত্তি, উন্নত আর্থিক সূচক এবং সুনির্দিষ্ট কৌশলগত রোডম্যাপ নিয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি আমানতকারী, বিনিয়োগকারী ও অংশীদারদের আস্থা পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। সেই সঙ্গে একটি সুদৃঢ়, নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় নিজেদেরকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে।
এসএম