ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাম্য হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ইবি ছাত্রদল

ঢাবি ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের দক্ষিণ গেট হতে একটি প্রতিবাদ মিছিল আরম্ভ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমবেত হয়।
এসময় তাদের ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ ‘আমার ভাই কবরে, ‘খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন, নুর উদ্দিন, সাক্ষর , উল্লাস হোসেন, রোকোনুজ্জামান, আলামিন, রিফাত, তৌহিদুল, উৎস, আলী, রিয়াজ, মামুন, রায়হান, লিখন, সাদিক, তাপস প্রমুখ।
এসময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ বা শিবির তো মরে না। শুধু ছাত্রদলের কর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এই দায় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ঢাবির ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করা উচিত। সংস্কার সংস্কার খেলা করে নির্বাচন পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে তাদের বিচার তো হচ্ছে না।’
সমাবেশে ইবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, গতকাল (১৩ মে) শুধু সাম্যকেই হত্যা করা হয়নি বরং ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করা হয়েছে। এ সরকার আবার নতুন করে ফ্যাসিস্টের মত চেপে বসতে শুরু করেছে। সরকার যদি অনতিবিলম্বে দোষীদের সনাক্ত করে বিচারের আয়ত্তায় না আনে তাহলে আমরা আবারো রাজপথে নামবো। ইবি সহ সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐ ফ্যাসিবাদের দোষরা এখনও তাদের স্ব স্ব অবস্থানে ফ্যাসিজমের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
তিনি ইবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ফ্যাসিজমের ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দর সাথে রাজপথে ছিলাম। আমরা তখন দেখেছি অনিয়ম করে অমেধাবীদের দিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এখনো তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। আওয়ামী লীগ যখন ফ্যাসিজম তখন থেকে অনেক ছাত্রলীগের অনেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করছে। তাদেরকে এখনো বাদ দেয়া হয়নি। সর্বশেষ সাম্য হত্যার বিচার-সহ আগামী দিনে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন নিরাপত্তা ঘাটতি রয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যহত হয়ে যাচ্ছে আর উপদেষ্টা ড. ইউনূস যমুনায় আরামে আছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুন-খারাপি হচ্ছে আবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুনি স্বৈরাচার সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদকে পার করে দিয়ে পরেরদিন নাটকের মঞ্চ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নামে যে মামলা আছে তা বর্তমান ইন্টেরিম গভর্মেন্ট এখনও প্রত্যাহার করেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুটিকয়েক লোক নিয়ে গুপ্ত সংগঠন হলে রুমে রুমে গিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমি ইবি প্রক্টরকেও জানাইছি এবং আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন তাদেরও অবহিত করেছি। আপনারা এসব অপতৎপরতা দেখবেন। সর্বোপরি সাম্য হত্যাকরীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে

দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে ১০ সদস্যের কমিশন গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৯ রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে ১০ সদস্যের কমিশন গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই কমিশন গঠন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাকসু সংবিধানের ৮(এফ) ধারার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এ নিয়োগ প্রদান করেন।
প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে আরও নয়জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-
১. অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ)।
২. অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)।
৩. অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ)।
৪. অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম (উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ)।
৫. অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা (স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট)।
৬. অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (শহীদুল জাহীদ) (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ)
৭. অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর (বাংলা বিভাগ)।
৮. অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ)।
৯. সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন।
ডাকসু নির্বাচনে ছয় সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন থাকলেও এবার কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১০ জন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা ও সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘আমার উপর ছাত্রলীগের যে টর্চার হয়েছে, আমি উপন্যাস লিখে ফেলতে পারব’

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মরণ ফাঁদের আরেক নাম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক, ঝরছে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রাণ

পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। একই বাসে আব্দুর রাজ্জাক ও রনি নামে ইবির দুই শিক্ষার্থী’সহ কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
প্রতিনিয়তই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকে বলে থাকেন মরণ ফাঁদের আরেক নাম কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক। গতবছর সেপ্টেম্বরে একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনির হোসেন ক্লাস শেষ করে সিএনজিতে বাড়ি ফেরার সময় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মক জখম হয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারিতে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়ায় ইবি’র একটি শিক্ষার্থীবাহী বাস ধানক্ষেতে উল্টে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরের নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে ইবি শিক্ষার্থীরা। এতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ, ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ পর্যন্ত মহাসড়ক সংস্করণ’সহ আরও কিছু দাবি করেন তারা। তবে এ সকল দাবির তেমন কোন কার্যকর বাস্তবায়ন ঘটেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার বলেন, ইবির যাতায়াত ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী অব্যবস্থাপনা ও প্রাতিষ্ঠানিক অমনোযোগের ফলে সৃষ্ট প্রাণঘাতী বিপর্যয় গভীরভাবে উদ্বেগজনক। প্রশাসনের এই গাফিলতি কেবল অবকাঠামোগত সংকট নয়, বরং এক প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার প্রতীক। অবিলম্বে নিরাপদ, টেকসই ও জবাবদিহিমূলক পরিবহন নীতিমালা প্রণয়ন সময়োপযোগী। শিক্ষার্থীদের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক আন্তরিকতা ও কার্যকর উদ্যোগ এখন অপরিহার্য। বিগত বছর মনিরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত ৫ দফা দাবি সত্ত্বেও প্রশাসনিক অকার্যকারিতা ও প্রতিশ্রুতির প্রহসনে পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটেনি। প্রশাসনকে অবিলম্বে জবাবদিহিমূলক কাঠামোর আওতায় এনে পূর্বঘোষিত দাবিগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সংগঠিতভাবে সাংবিধানিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ে সোচ্চার ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত যাতে আর কোনো প্রাণ এভাবে ঝরে না যায়।
সাদিয়া মাহমুদ মীম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এখন পর্যন্ত যতবারই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার দাবির বাস্তবায়ন আমাদের নজরে পড়েনি। প্রশাসনকে পুরাতন সকল দাবিসমূহ নতুনভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া রাস্তা সংস্করণ’সহ বিশ্ববিদ্যালয় মেইনগেটের সামনে স্পিডব্রেকার নতুনভাবে সংযোজন করতে হবে। কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট গতি নির্ধারণ করে সেই গতির সীমা অতিক্রমকারী যানবাহনকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। রাস্তা সংস্করণের দাবি বাস্তবায়ন না হলে সকল সাধারন শিক্ষার্থী আবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। আর একটি প্রাণ যেন না ঝরে, সেই উদ্যোগ প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে নিতে হবে।
এবিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ক্যাম্পাস খোলার পর উপাচার্য বরাবর নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ, মহাসড়ক সংস্করণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান ও দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানাবো। তবে যদি এর ব্যাত্যয় ঘটে তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ও পরবর্তীতে সড়ক অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি পালন করব। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস. এম. সুইট বলেন, আমাদের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বেহাল দশা এবং লোকাল বাস ও পরিবহনের অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে আর কত প্রাণ ঝড়লে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ প্রশাসনের টনক নড়বে! আমরা এর আগে গত প্রশাসনের সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছি এবং সর্বশেষ কয়েক মাস আগেও মহাসড়ক অবরোধ করে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে এসেছি। এরপরও প্রশাসন কোন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। অনতিলম্বে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার হওয়া এবং সকল পরিবহনের নিয়ন্ত্রিত গতি আনতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ফুটওভার ব্রিজ অতিদ্রুত সময়ের ভিতরে বাস্তবায়ন করতে হবে নাহলে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো।
ইবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে সচেতন। সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু আমাদের প্রচণ্ডভাবে মর্মাহত করেছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। আশ্বাস পেলেও এখনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলেই আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো যেন তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সড়ক সংস্কারের জন্য তাগিদ দেয়। পাশাপাশি নিহত শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হবে। এই দুর্ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি অল্প সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কারসহ সড়ক নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হয় আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই হাসপাতালে এসেছি। ওর বিভাগের শিক্ষকরাও এখানে আছেন। এখন লাশ ধোয়ানো হচ্ছে। এরপর ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ওর বাড়ি জয়পুরহাটে পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২২ জুন থেকে এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। টাকা জমা দেওয়া যাবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।
সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সদস্য মো. শাহাদাত হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ১ লাখ ৮২২টি এমপিওভুক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি পদ, মাদরাসায় ৫৩ হাজার ৫০১ এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বয়স ধরা হয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ ৪ জুন থেকে। এ তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।
আর সনদের মেয়াদ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের তারিখ থেকে ৩ বছর। সে অনুযায়ী ৪ জুন থেকে প্রার্থীর বয়স ও সনদের মেয়াদ ধরা হয়েছে।
একজন প্রার্থী শূন্যপদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পারবেন। ১ হাজার টাকা আবেদন ফি দিয়ে এনটিআরসিএ এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। ফি জমা না দিলে আবেদন বাতিল হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দিলে এবং সে অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে এ সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃত প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়, তবে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ওই সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও স্থগিত-বাতিলকরণ এবং ম্যানেজিং কমিটি-গভর্নিং বডি বাতিলকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্তগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন।