গত রবিবার (১১ মে) অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ‘শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বিএসইসির কমিশনার মোহসিন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিপরিতে ব্যাখা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরীর সম্পর্কে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সংবাদ প্রতিবেদনে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী আইন লংঘন করে নিজ নামে শেয়ার ব্যবসা করছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী বিএসইসিতে যোগদানের পূর্বেই ২০২১ সালে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টটি খুলে ছিলেন। বিএসইসির চাকরিতে যোগদানের পর তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে কোন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ক্রয় করেননি। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে বিএসইসির চাকরিতে যোগদানের পর পরই তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে থাকা সকল শেয়ার বিক্রয় করা হয় এবং উক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারকে নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। নির্দেশনা অনুযায়ী অপরাপর সকল শেয়ার বিক্রয় করা হয়েছে কিন্তু ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকার কারণে শুধু ‘বেক্সিমকো লিমিটেড’-এর শেয়ারসমূহ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি এবং একারণে সিডিবিএল উপ-আইন (Bye-laws)অনুযায়ী উক্ত বিও অ্যাকাউণ্যটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি মর্মে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার তাকে অবহিত করেছে। বর্তমানে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে ‘বেক্সিমকো লিমিটেড’-এর মোট ২২৩১টি শেয়ার রয়েছে যার বর্তমান বাজারমূল্য ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা। উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে উল্লেখিত ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’ ব্রোকারেজ হাউজটির সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। অতএব, বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী শেয়ারব্যবসার সাথে জড়িত উল্লেখিত দাবিটি সত্য নয় এবং প্রকাশিত সংবাদ বাস্তব ভিত্তিক নয় বরং বিভ্রান্তিকর। সর্বোপরি মেসকল অভিযোগ ও সন্দেহপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মনগড়া। এধরণের বিভ্রান্তিকর-অসতা তথা ও আপত্তিকর বক্তব্য সম্বলিত সংবাদের মাধ্যমে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে আপনার সংবাদমাধ্যম কর্তৃক পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ত্রুটিপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও একপেশে তথা সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ বিএসইসি আশা করে না।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি তৈরিতে সকল তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়েছে। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে মোহসিন চৌধুরীর বিও অ্যাকাউন্ট সিএসইর ব্রোকারেজ হাউস ‘জিরো ওয়ান লিমিটেডে’ শেয়ার লেনদেনের ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান করেছে অর্থসংবাদ। একই সঙ্গে কমিশনের ব্যাখায় বলা হয় কমিশনার মোহসিন চৌধুরী যোগদানের পরপরই শেয়ার বিক্রি করেন কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যোগদানের পূর্বেই বিও হিসাব বন্ধ করার বিধান রয়েছে। একই সাথে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই প্রতিবেদনটি একপেশে বলার সুযোগ নেই। এছাড়াও কমিশনের ব্যাখ্যাতে প্রমাণিত যে তিনি যোগদানের পর শেয়ার বিক্রি করেছেন এবং এখনও বিও হিসাবটি বেক্সিমকোর শেয়ার ফ্লোরে থাকার কারণে বন্ধ হয়নি। সুতরাং প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট বা ভিত্তিহীন বলার সুযোগ নেই।
এসএম