এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর দায় এক দশমিক ৮৮ বিলিয়ন বা ১৮৮ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডলার পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। যেখানে সুদের হার ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার এই বিল পরিশোধ করে আজ বুধবার রিজার্ভ থেকে সমন্বয় করা হয়।
ফলে আকুর দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে ২৫ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বা বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার (৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২২ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। এর দুই দিন আগে গত রোববার রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে দুই দিনের ব্যবধানে কিছুটা বেড়েছিল রিজার্ভ। তবে আকুর দায় পরিশোধের কারণে কমেছে রিজার্ভের পরিমাণ।
আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা হলো আকু বা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। তেহরানে এর সদর দপ্তর। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কার আকু সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
গত দুই মাসের (মার্চ ও এপ্রিল) আমদানি ব্যয়ের বকেয়া বাবদ এক দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হলো। এ অর্থ গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে মে-জুন মাসের আমদানির বিপরীতে সর্বোচ্চ এক দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার আকুর বিল বাবদ পরিশোধ করে বাংলাদেশ।