বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রী রোকসানা হাসানের বিরুদ্ধে পৃথক নামে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক। এই দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ ও প্রায় ৩২ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।
আজ সোমবার (৫ মে) বিকেলে দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিসিবির সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুদক।
প্রথম মামলায় নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি সাত লাখ ৪১ হাজার ১২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তার ২০ ব্যাংক হিসাবে ৭৪২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৬ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অপরাধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারায় পাপনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন পাপনের স্ত্রী রোকসানা হাসান। তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১১ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ১১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় বিসিবির সাবেক পরিচালক ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার ৪৮১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও আট ব্যাংক হিসাবে তিন কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার ৭০১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই তিনজনের পাশাপাশি বিসিবি ও পাপন সংশ্লিষ্ট আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল করা হয়েছে। তারা হলেন—পাপনের মেয়ে রুশমিলা রহমান (অহনা), ছেলে রাফসান রহমান, আরেক মেয়ে সুনেহরা রহমান (তন্নি), তন্নির স্বামী ও বেক্সিমকো ফার্মার স্ট্র্যাটেজিক ব্র্যান্ড ম্যানেজার রাকিন আল মাহমুদ ও ইসমাইল হায়দার মল্লিকের স্ত্রী সুলতানা নিঝুম।
কাফি