অবসরে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার!

অবসরে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার!
 

এক বছর আগেও ছিলেন নিষিদ্ধ ক্রিকেটার। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে চিত্রটা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। ডেভিড ওয়ার্নার এখন অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার। মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন স্টিভেন স্মিথকে।

কিন্তু বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়ার পর একি শোনালেন ওয়ার্নার! তিনি কি না অবসর নেবেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে! এমনই চিন্তা-ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এরই মধ্যে। মূলতঃ টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে লম্বা করার জন্যই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানোর চিন্তা করছেন অস্ট্রেলিয়ার এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।

অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ার পর মেলবোর্নে পুরস্কার মঞ্চে উঠে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি ওয়ার্নার। কান্না জড়ানো কন্ঠে বলে ফেলেন, ‘জানি, অতীতে আমি আপনাদের আস্থাভঙ্গ করেছি। তবে এভাবে ফিরে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।’

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার পর পরই সাফল্যের মুখ দেখেছেন ওয়ার্নার। যা নিয়ে এই বাঁ-হাতি ওপেনারের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছাতে না পেরে আমরা হতাশ হয়েছি। আবার অন্যদিকে অ্যাশেজ ধরে রাখাটা ছিল দারুণ কৃতিত্বের। অ্যাশেজে আমি সাফল্য পাইনি, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে মাঠে ফেরার জন্য আমি সব সময় মুখিয়ে ছিলাম। রান পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম।’
মূলতঃ বিশ্বকাপে ওয়ার্নার ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৬৪৭, সর্বোচ্চ ছিল রোহিত শর্মার, ৬৪৮)। নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে ভেঙে পড়া নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সময় অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম। সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরে ভাল লাগছে।’

বর্ষসেরার পুরস্কার পাওয়ার পরও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের চিন্তা করছেন ওয়ার্নার। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? টেস্ট ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারকে আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটকে বিদায় জানানোর চিন্তা করছেন তিনি।

অবসর নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে আমি অবসর নিতে চাই। তবে তার আগে সূচি দেখতে হবে। কারণ তিন ফরম্যাটেই খেলে যাওয়া আমার পক্ষে খুবই কঠিন।’

নিজের পারিবারিক জীবন নিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘আমার তিন সন্তান। স্ত্রী ওদের দেখভাল করে। ক্রিকেটের জন্য আমার পক্ষে সব সময়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাই না। একটি ফরম্যাট থেকে অবসর নিলে বেশ কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।’

ওয়ার্নার ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারোন ফিঞ্চ (ওয়ানডে বর্ষসেরা ক্রিকেটার, পুরুষ), এলিস পেরি (বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার)। রোববার পেরি আবার শচিনকে বল করেছিলেন দাবানল ত্রানে আয়োজিত ম্যাচের ইনিংস বিরতিতে। মার্নাস লাবুশানে হয়েছেন পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড