জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, মানবিক করিডর সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি।
রোববার (৪ মে) রাজধানীতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের একত্র করে রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই, বরং তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনই একমাত্র টেকসই সমাধান। মানবিক করিডর নিয়ে সরকার কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেনি।
খলিলুর রহমান জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জাতিসংঘ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই করিডরের মাধ্যমে শুধু ত্রাণ ও খাদ্য পাঠানো হবে, অস্ত্র নয়। পাশাপাশি, এই যোগাযোগ রাখাইনে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং দেশটিকে অস্থির করার কোনো ইচ্ছা বাংলাদেশের নেই।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, “রোহিঙ্গারা অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যাবে। বিষয়টি সহজ নয়, তবে সরকার এই প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অন্যদিকে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক এবং সাংঘর্ষিক বিষয়সমূহ পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট করেন।
আইনজীবী রওশন আলী জানান, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট–২০২৫’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি ৩১৮ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণধর্মী নথি, যা সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তিনি দাবি করেন, এতে অন্তর্ভুক্ত বেশ কিছু সুপারিশ ইসলামী শরিয়াহ, সংবিধান এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।