পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১৪ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- লাভেলো, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসসি, সিটি ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো ফার্মা।
কাফি

পুঁজিবাজার
সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন থেকে ১৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৯৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৪১ কোটি ১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
এক হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে ইউসিবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) আরও একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। এই বন্ডের নাম- ইউসিবি ৬ষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এর আগে ইউসিবি আরও পাঁচটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করেছে।
প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে ইউসিবি বাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার-টু মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশন সভায় বন্ড ইস্যুর এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বন্ডটি হবে ট্রাস্ট ব্যাংকের ৬ষ্ঠ সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৭ বছর। মেয়াদ শেষে এর পূর্ণ অবসায়ন ঘটবে। বন্ডটি শেয়ারে রূপান্তর-অযোগ্য। অর্থাৎ এর কোনো অংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে না। এই বন্ডের বিপরীতে কোনো জামানত থাকবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
পুঁজিবাজার
ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি কর্তৃক ডিসেম্বর ৩১,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এ অনুষ্ঠিত ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারা এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান আহমেদ মোশতাকুর রাজা চৌধুরী। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকদের মধ্যে নাজির রহিম চৌধুরী, খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ইমরান রহমান, অধ্যাপক নওশীন রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন,
কোম্পানী সচিব জসিম উদ্দিন, এফসিএস, এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডারগন অংশ গ্রহন করেন।
সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের জবাবে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমুল বাতেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন দক্ষতা তুলে ধরেন এবং খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রনে ডিবিএইচ’র সাফল্য উল্লেখ করে বলেন ডিবিএইচের খেলাপী ঋণ প্রতিষ্ঠানটির মোট ঋনের ০.৯৭% যা দেশের আর্থিক খাতের মধ্যে সর্বনিম্ন যা প্রতিষ্ঠানটিকে পরপর ২০ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং এএএ (ট্রিপল এ) পেতে ভূমিকা পালন করেছে। এর সাথে তিনি ডিবিএইচের বিভিন্ন সিএসআর প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন।
ডিবিএইচের চেয়ারম্যান মোশতাকুর রাজা চৌধুরী পরিচালকবৃন্দের প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে সৃষ্ট প্রতিকুল অবস্থা সত্তেও কোম্পানীর আয় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সকল কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে তা কোম্পানির আয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পুঁজিবাজার
ব্র্যাক ব্যাংকের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ ২০২৪ সালের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন করেছে। যার সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড আকারে বণ্টিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার যোগ দেন।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসানের সভাপতিত্বে এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপারসন ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ- ফারজানা আহমেদ, আনিতা গাজী রহমান, চৌধুরী এমএকিউ সারওয়ার এবং লীলা রশিদ।
সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান। কোম্পানি সচিব এম মাহবুবুর রহমান, এফসিএস এজিএম পরিচালনা করেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জানানো হয়, ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১,২১৪ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান তাঁর বক্তব্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর তুলে ধরা উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, ২০২৪ সালে একক ভিত্তিতে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানতে ৩৪ শতাংশ এবং ঋণে ২০ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
তিনি শেয়ারহোল্ডার, রেগুলেটর, সহকর্মী এবং স্টেকহোল্ডারদের তাঁদের সমর্থন এবং অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি ২০২৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংক আরও বেশি সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহসহ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ফারজানা লালারুখ ও বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন তথা পুঁজি উত্তোলনের সুযোগকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংক ঋণের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ ও ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতের বিষয়টি এ সময় আলোচনা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বৈঠকে কিভাবে ও কোন পদ্ধতিতে বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুঁজিবাজার হতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে পুঁজি সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও, দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং বন্ড মার্কেটের তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়। একইসাথে উক্ত বিষয়গুলোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আগামীতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করে দেশের পুঁজিবাজারের সাথে সাথে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হবে। সর্বোপরি, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে উক্ত বৈঠকে ফলপ্রসু এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার সভাপত্বিত্বে গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় পুঁজিবাজারের সঠিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং উন্নয়নে করণীয় নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পাঁচটি নির্দেশনা প্রদান করেন যার মধ্যে ‘দেশের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক নির্দেশনা অন্যতম।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম