টালিউডে আসছে নতুন ছবি ‘আড়ি’। এতে অভিনয় করছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত এবং অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ছবির মূল গল্প মা-ছেলের মমতাময় সম্পর্ককে ঘিরে। তাই এই গল্পে যুক্ত হয়েছেন ভারতের প্রবীণ অভিনেত্রী মৌসুমি চ্যাটার্জি, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রিয় মুখ।
একসময় মৌসুমি চ্যাটার্জি ছিলেন বাংলা সিনেমার এক অনন্য ‘নস্টালজিয়া’। এবারও তিনি আসছেন দর্শকদের মন জয় করতে, তবে নায়িকার চরিত্রে নয়—এই সিনেমায় তিনি যশের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।সম্প্রতি ‘আড়ি’ ছবির প্রচারণা উপলক্ষে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন যশ ও নুসরাত। এই সময় আলোচনায় উঠে আসে সিনেমার নানা দিক থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও।
বর্তমানে যশ ও নুসরাত দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। নিয়মিত নানা ছবি, ভিডিও ও আপডেট শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। তবে সেই পোস্টগুলোর মন্তব্য ঘরে প্রায়ই আসছে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। ‘আড়ি’ ছবির মূল প্রতিপাদ্য যেখানে মা-ছেলের ভালোবাসা, মমতা—সেই প্রেক্ষাপটে তাদের পোস্টে অনেকে মায়ের নাম জড়িয়ে অশোভন ভাষা ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যশ ও নুসরাত খোলাখুলি মত প্রকাশ করেন।
নুসরাত বলেন, ‘যারা মা-বাবাকে জড়িয়ে গালাগাল করে, তাদের অভিভাবকেরা হয়তো জানেনই না যে তাদের সন্তান এমন কাজ করছে। যদি জানতেন, তাহলে হয়তো তারা থামাতেন।’ যশ বলেন, ‘কোনও মা-বাবা সন্তানকে এমন শিক্ষা দিতে পারেন না। যারা এমন আচরণ করছে, তারা আসলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের সহানুভূতির প্রয়োজন রয়েছে। তারা চাইলে জিমে যেতে পারে, শরীরচর্চা করতে পারে। এতে শরীর ভালো থাকবে, মনের হতাশাও কাটবে।’
নুসরাত যোগ করেন, ‘যারা মা তুলে গাল দেয়, তারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত।’
নুসরত বলেন, ‘যারা মা-বাবা তুলে গালি দেয়, তাদের বাবা-মায়েরা জানেন না, তারা এটা করছে। যদি জানত তাহলে তারা এটা করতো না।’ যশ বলে ওঠেন, ‘কোনো মা-বাবা এমন শিক্ষা দিতে পারেন না। যারা এটা করছে, তাদের সাহায্য দরকার। তারা জিম করতে পারে, ওজন তুলতে পারে। ঘাম ঝরবে, ফ্রাসট্রেশন কেটে যাবে।’ নুসরাত বললেন, ‘যারা মা তুলে গালি দেয়, তারা ফ্রাস্ট্রেটেড’।