আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
শরীয়তপুরের সখিপুরে তারাবুনিয়ার ঐতিহাসিক মাটিতে প্রথমবারের মতো এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, “দেশে এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ভোটাধিকার শুধু কাগজে-কলমে। জনগণের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ আজ ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে সেই অবৈধ দুঃশাসনের অবসান হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন যুবলীগও নিষিদ্ধ হবে। গণঅধিকার পরিষদ জনগণের নেতৃত্বে এই দানবীয় দখলদারদের উৎখাত করবে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি। একই মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা দেন, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা একদলীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে আছি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের মুখপাত্র ফারুক হাসান, ডা. শাহজালাল সাজু, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সি, হাসান আল মামুন, বীন ইয়ামিন মোল্লা, মাহমুদ পারভেজ, নাজমুল হাসান, ওবায়দুল হোসেন শুভ এবং শাকিল সিকদার।
সমাবেশ শেষে নেতারা সখিপুর বাজার, উত্তর তারাবুনিয়া ও আশপাশের জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ করেন। পথচলতি মানুষজনের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং তুলে ধরেন সংগঠনের লক্ষ্য ও কর্মসূচির কথা।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বক্তারা বলেন, “সরকারের দমন-পীড়ন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে জনগণের শক্তিকে ভিত্তি করে।
অর্থসংবাদ/কাফি