৯ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার কোটি টাকা

৯ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার কোটি টাকা
ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় এ সমস্যার সুরাহা কোনোভাবেই যেন করা যাচ্ছে না।এ খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। কোনোভাবেই খেলাপি ঋণ এর কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। ঋণ নেয়ার পর বিভিন্ন অজুহাতে একের পর এক খেলাপি হয়ে যাচ্ছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকারও বেশি। খেলাপি ঋণের এ বোঝা বইতে বইতে অনেক ব্যাংক নিজেই নুয়ে পড়ছে।

দেশের ৫৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি আছে নয় ব্যাংকের। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। তাদের খেলাপি ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর দেশি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ হয়েছে ৭৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যে ৯টি ব্যাংকের ঋণ উদ্বেগজনক হারে খেলাপি হয়েছে, সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (৩৬ দশমিক ১১ শতাংশ), বেসিক ব্যাংক (৫১ দশমিক ৭৩ শতাংশ), জনতা ব্যাংক (২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ), সোনালী ব্যাংক (২০ দশমিক ৯১ শতাংশ), বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক (৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ), আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক (৭৯ দশমিক ৮১ শতাংশ), পদ্মা ব্যাংক (৬৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (৩০ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং দেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত ২০১৯ সালের ১৬ মে ঋণ খেলাপিদের মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুযোগ দেয় সরকার। ওই সুবিধার আওতায় জুন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ব্যাংক নবায়ন করে, যার অর্ধেকই করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে তিন মাসে মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা কমেছে। এ কমাটা খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না। কিছু সময় গেলে বোঝা যাবে অবস্থা আসলে কেমন। তবে কমে আসাটা ইতিবাচক। হয়তো নতুন ঋণে শর্ত যোগ হওয়ায় বড় খেলাপিরা কমিয়ে দিচ্ছে নতুনটি পাওয়ার আশায়। আবার কমে আসার কারণটা হতে পারে ব্যাংকারদের কড়াকড়ি আরোপ।

ব্যাংক খাত টিকিয়ে রাখতে খেলাপিদের আরও কঠিন বার্তা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা