পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪টি ব্রোকারেজ হাউজ ও একটি মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে এই আদেশ দিয়েছে সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে পৃথক ৫টি পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত পরিদর্শন কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- রাজ্জাক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ১৮৪), স্কাইস সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর- ৮৪), শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ৩) ও চিটাগাং ক্যাপিটাল লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর- ৬)। আর মার্চেন্ট ব্যাংকটির নাম হলো- গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্ব পরিপালন, তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এছাড়া এএমএল/সিএফটি সিস্টেম চেক করার মধ্যে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং সনাক্ত করার জন্য তার নীতি, পদ্ধতি এবং নিয়ন্ত্রণগুলি কার্যকরভাবে বজায় রাখা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হবে। এই চেকটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধানগুলির সঙ্গে সম্মতি নিশ্চিত করে এবং এই আর্থিক অপরাধের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি প্রশমিত করতে সহায়তা করে।
পরিদর্শন কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ অ্যাকাউন্টে ঋণ প্রদান, ডিলার অ্যাকাউন্ট, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মোট সম্পদ মূল্যসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
গঠিত পরিদর্শন কমিটির সদস্যরা হলেন- রাজ্জাক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন ও ডিএসই’র এক্সিকিউটিভ জামশেদুল ইসলাম। স্কাইস সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও মো. মাহমুদুল হাসান।
শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন ও ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মো. আল আমিন। চিটাগাং ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও আলী আহসান।
গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও মো. আশরাফুল হাসান।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্বের পরিপালন তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন করা হয়ে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন সাল ভিত্তিক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শনে উল্লিখি কর্মকর্তাদের মনোনীত করা হলো।
কাফি