অর্থনীতি
দেশকে আরও এগিয়ে নিতে একত্রে কাজ করতে হবে: আহসান খান

অবমাননার নাম বাংলাদেশ নয়, এগিয়ে নেয়ার দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেয়ার নাম বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়নে আমরা (ব্যবসায়ীরা) কাজ করছি। বাংলাদেশ এখন গতিশীল। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ দেশকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে জানিয়েছে আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।
আজ (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- পোশাকশিল্প মালিক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ প্রতিনিধি, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফচাকচারার্স এক্সপার্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি (ডিসিসিআই), বিজিএপিএমইএ, ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ সকল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীমহল।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগমুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অপমান ব্যবসায়ীমহল মানবে না। আলেম সমাজের আড়ালে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে- এটা সহ্য করা হবে না।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
সেরা করদাতার সম্মাননা পাচ্ছে ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

২০২২-২৩ করবছরের জন্য মোট ১৪১ ব্যক্তি, কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা সম্মাননা ও ‘ট্যাক্স কার্ড’ দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মনোনীতদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে রাজস্ব সংগ্রহের প্রধান এ সংস্থা।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা এ গেজেটে ৭৬ ব্যক্তি, ৫৪ কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১১টিসহ মোট ১৪১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে।
এদিকে ফের সেরা করদাতা হয়েছেন জর্দা ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া। ২০২২-২৩ করবর্ষের জন্য সেরা করদাতা হন। মো. কাউছ মিয়া হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী। তিনি ছাড়াও আরও চার ব্যবসায়ী সেরা করদাতা হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
লোহা রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশে উৎপাদিত স্টিল বা লোহা এবং লোহা থেকে তৈরি পণ্য বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তাদের হিসাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্টিল বা ইস্পাত পণ্য রপ্তানি করে বার্ষিক ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) আয়োজিত এক সভায় এসব কথা উঠে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ সময় তিনি বলেন, ইস্পাত বা লোহা এবং লোহার পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা খুঁজে বেড় করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং করণীয় নির্ধারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এফবিসিসিআই তাদের সেসব প্রস্তাব নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবে।
রপ্তানিপণ্য বহুমুখী করতে লোহা ও লোহার পণ্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
সভায় অংশ নিয়ে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের অ্যাডভাইজার জিল্লুর হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথের সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশের ইস্পাতসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের লোহা ও লোহার পণ্য তৈরি হচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নত- এমন দাবি বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় দেশের ইস্পাতের চাহিদা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। উদ্বৃত্ত সক্ষমতার (ওভার ক্যাপাসিটি) ইস্পাত যদি আফ্রিকাসহ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করা যায়, তাহলে এই খাত থেকে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
এ সময় লোহা ও লোহার পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লোহা ও লোহার পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা। রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করাসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী, এফবিসিসিআই পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারী প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চার মাসেও এক কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসেনি ৭ জেলায়

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম উৎস হলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। তবে চরম ডলার সংকটের মাঝেও গত দেড় বছরে রেমিট্যান্সের জোগান খুব একটা যুঁতসই ছিলো না। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেও ২০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আহরণ সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি চলমান অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ১ কোটি ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসেনি দেশের সাত জেলায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে লালমনিরহাট। গত চার মাসে এই জেলায় মাত্র ৫৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া রাঙামাটিতে ৫৯ লাখ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬১ লাখ, পঞ্চগড়ে ৭১ লাখ, খাগড়াছড়িতে ৭৬ লাখ, কুড়িগ্রামে ৯৫ লাখ এবং জয়পুরহাটে ৯৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে পিছিয়ে থাকা প্রায় প্রতিটি জেলা জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্যতম কৌশল হিসেবে অভিবাসনকে দেখা হয়। এই অঞ্চলে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করলে প্রবাসীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে জীবনমান এবং সামাজিক পরিবর্তনের সুযোগ থাকে।
লালমনিরহাটে প্রবাসী আয় কমলেও রেমিট্যান্স আহরণে বরাবরই এগিয়ে ঢাকা জেলা। গত চার মাসে ঢাকা জেলায় ২৩০ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চট্টগ্রাম জেলায় ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ ছাড়া সিলেটে ৪০ কোটি ৫১ লাখ, কুমিল্লায় ৩৮ কোটি ৭০ লাখ ও নোয়াখালী জেলায় ২২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ দশে থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার ও নরসিংদী।
অর্থসংবাদ/আজাদ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টানবাজারে কমেছে সুতার দাম

দেশের বৃহত্তম পাউকারি সুতার মোকাম টানবাজারে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম ২-৫ টাকা কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির কাঁচামাল তুলার দাম কমতির দিকে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কমছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস শিল্পে বিদেশী ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় সুতার চাহিদাও কমতির দিকে।’
জানা গেছে, বাজারে ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ৪২-৮৫ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি ১০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে ১-২ টাকা। ২০ কাউন্টের সুতা বাজারে প্রকারভেদে পাউন্ডপ্রতি লেনদেন হচ্ছে ৮৫-১১৫ টাকা, যা ১০-১৫ দিন আগেও ছিল ৮৭-১২০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২-৫ টাকা।
২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪৮-১৬০ টাকা পাউন্ড দরে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১৫২-১৭০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ১-১২ টাকা।
আর ২৬, ২৮ ও ৩০ সিভিসি কাউন্টের সুতার দাম গত সপ্তাহের ১২৫ টাকা থেকে কমে ১১৮ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ৭ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে ৪০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে পাউন্ডপ্রতি ১৬৮ টাকা দরে। বর্তমানে তা ১৬৫-১৬২ টাকায় নেমেছে। দাম কমেছে ৩-৫ টাকা।
৫০ কাউন্টের সুতার দাম প্রতি পাউন্ডে ৪-৫ টকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮৪-১৯২ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে সুতাটির দর ছিল ১৮৮-১৯৭ টাকার মধ্যে।
গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে পাউন্ডপ্রতি ৫-৬ টাকা কমে ৬০ কাউন্টের সুতা বিক্রি হচ্ছে ২০৫-২২০ টাকায়। ৮০ কাউন্টের সুতা ২৯০-৩০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে বাজারে লেনদেন হচ্ছে প্রকারভেদে ২৮০-২৯০ টাকা পাউন্ড দরে। কাউন্টপ্রতি দাম কমেছে ১০ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাশে ইয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি লিটন সাহা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুতার দাম বেশ ওঠানামা করছে। এক সপ্তাহ বাড়তি থাকে তো এক সপ্তাহ কমতির দিকে থাকে। দাম এভাবে ওঠানামা করলে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির উপাদান তুলার দাম কিছুটা কমেছে। যে কারণে দেশের বাজারেও সুতার দাম কিছুটা কমতির দিকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন কর কমলো

ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকার জমি বা ফ্ল্যাটসহ ব্যক্তিগত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরে জমি নিবন্ধন উৎস কর কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩– এর ৩৪৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনে মৌজা অনুযায়ী বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার জমি নিবন্ধন কর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকার খিলক্ষেত বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা—যেটি কম হবে, তা কর হিসেবে দিতে হবে।
চট্টগ্রামের খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, সদর, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা ও টঙ্গীর ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে মূল্যের ৬ শতাংশ করহার আগের মতো বহাল আছে। তবে কাঠাপ্রতি করের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি মূল্য ৫০ হাজার টাকা-যেটি কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।
একইভাবে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই এবং চট্টগ্রামের আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঙ শ্রেণির মৌজার কর কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনের সময় জমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা- যা কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।

গত অক্টোবর মাসে যখন মৌজা ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়, তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ-এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।