প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দৃষ্টিনন্দন ‘ড্রোন শো’র আয়োজন করা হয়েছে। এতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই ড্রোন শো শুরু হয়। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দাঁড়িয়ে এই প্রদর্শনী উপভোগ করেন হাজারো দর্শক।
অন্ধকারের মাঝে আলো ছড়িয়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলা এই ড্রোন শো’র শুরুতেই হাতে ধরে থাকা খাঁচাবন্দি একটি পাখির ছবি ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সেই খাঁচা খুলে গিয়ে পাখিটি বের হতে দেখা যায়। তখনই আকাশে ‘রিবার্থ ৩৬ জুলাই’ লেখা ভেসে ওঠে। তারপর ভেসে ওঠে জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের সেই হাত ছড়ানো ছবি। আবু সাঈদের পর ভেসে ওঠে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মুগ্ধর সেই পানি নিয়ে যাওয়ার ছবি। পাশে লেখা ‘পানি লাগবে পানি’।
এরপর প্রতিবাদী এক নারীর অবয়ব ভেসে ওঠে। তারপর আকাশে দেখা যায় আন্দোলনের সময় স্যালুট জানানো সেই রিকশাচালকের ছবি। তারপর ভেসে ওঠে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার ছবি।
এরপরই আকাশে ভেসে ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে ‘১৯৭১’ লেখা। এরপর সেটার নিচে ভেসে ওঠে জুলাই বিপ্লবের স্মারক ‘২০২৪’ লেখা। তারপর ধীরে ধীরে ১৯৭১ লেখা মুছে গিয়ে ২০২৪ এর ওপর পতাকা হাতে এক ব্যক্তির অবয়ব দেখা যায়।
ড্রোন শোতে ইসরায়েলি আগ্রাসণের শিকার ফিলিস্তিনের প্রতিও সমর্থন জানানো হয়। ড্রোন দিয়ে তৈরি করা হয় ফিলিস্তিনের পতাকা ও শান্তির প্রতীক পয়ারার ছবি। সঙ্গে লেখা দেখা যায়, ‘প্রেয়ার্স ফর প্যালেস্টাইন’। তারপর ভেসে ওঠে এঞ্জেলের ছবি।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এই ‘ড্রোন শো’র আয়োজন করা হয়েছে। যা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। তাই ড্রোন দিয়ে তৈরি করা হয় বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের নিদর্শন। সেখানে লেখা দেখা যায় ‘লং লিভ চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ’।
শেষে দর্শকদের ড্রোন শো’র মাধ্যমে ‘শুভ নববর্ষ’ লিখে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো হয়।