দেশের তরুণ বক্তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হলো নেতৃত্বের আহ্বান, আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ এবং ভবিষ্যতের গল্প। ইয়ুথ আপস্কিল নেটওয়ার্কের (ইউনেট) আয়োজনে ইংরেজী থেরাপি প্রেজেন্টস ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চূড়ান্ত রাউন্ড শেষে বিজয়ী হন তিনজন প্রতিযোগী। এতে ১ম স্থান অর্জন করেছেন সিলেট আর্মি আইবিএ থেকে মাশরুরা মেশকাত পূর্ণ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাসনিমুল ইসলাম আফিফ পেয়েছেন ২য় স্থান, আর ঢাকা মোহাম্মদপুর প্রিপেরটরি হাই স্কুল থেকে আদিবা সুলতানা আলিফা হয়েছেন ৩য় স্থান বিজয়ী এবং প্রত্যেকেই পেয়েছেন প্রাইজমানি। সকল ফাইনালিস্টদের ট্রফি ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ইংলিশ অলিম্পিয়াড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সংগঠক আমান সুলায়মান, জেন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপন, পাব্লিক স্পিকিং অফিসিয়ালের (পিএসও) প্রতিষ্ঠাতা সোলায়মান আহমেদ জিশান এবং ব্যারিস্টার রাফায়েলুর রহমান মেহেদী, জেসিআই বাংলাদেশ ন্যাশনাল গভর্নিং বডি মেম্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক। তিনি বলেন, “যে তরুণ-তরূণী কথা বলতে জানে, তারাই পারে ভবিষ্যত গড়তে। এই আয়োজন সেই সাহসী কণ্ঠগুলোকে একত্র করেছে।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ইভেন্ট ডিরেক্টর মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, “যুব কণ্ঠ যত দৃঢ় হবে, দেশ তত সমৃদ্ধ হবে। তরুণরা যখন তাদের কণ্ঠ খুঁজে পায়, তখনই তারা নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে পেতে শুরু করে। ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ আমরা আয়োজন করেছি এই বিশ্বাস থেকে যেন তরুণরা সাহস নিয়ে কথা বলতে পারে, চিন্তা প্রকাশ করতে পারে, এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়াতে পারে। আজকের প্রতিটি বক্তৃতাই ছিল ভবিষ্যতের একেকটি রূপরেখা।”
ইউনেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মাহির আশেফ এবং এই আয়োজনের কনভেনার বলেন, “আসল পরিবর্তন শুরু হয় আত্মপ্রকাশ থেকে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই যারা যুক্তির সাথে কথা বলতে জানে, সহানুভূতির সাথে নেতৃত্ব দিতে পারে, এবং সচেতনভাবে কাজ করতে পারে। আমরা যে উদ্দীপনা ও সম্ভাবনা দেখেছি, এটি কেবল শুরু মাত্র।”
তরুণদের কথার শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে সফলভাবে শেষ হলো ইউনেট স্পিকআপ বাংলাদেশ ২০২৫ যা হয়ে থাকবে বহু তরুণের জীবনের প্রেরণার মাইলফলক। আয়োজনটির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিলো ইংলিশ থেরাপি, চমৎকার ডিজিটাল, গ্লোবাল ট্রাভেলস, ব্যাস নেটওয়ার্ক এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
কাফি