চলতি বছর বোরো মৌসুমে ৪ টাকা বেশি দরে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান, চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এরমধ্যে ধান সাড়ে ৩ লাখ টন, চাল ১৪ লাখ টন রয়েছে। এবছর ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৯ টাকা কেজি দরে চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে গম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি (এফপিএমসি) সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, গত বছর বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চালসহ ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি কেজি বোরো ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা দরে কেনে সরকার।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ধারাবাহিকভাবে বন্যা অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সরকার কিন্তু সার, চাল আমদানি করে মোটামুটি আমরা স্থিতিশীল ছিলাম। ফলে গতবছর ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আমাদের পরিপূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছরও আমরা ধান, চাল সংগ্রহ করবো। সেলক্ষ্যে আজকে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবছর ৩৬ টাকা কেজি দরে বোরো ধান, সেদ্ধ চাল ৪৯ টাকা, ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। এরমধ্যে ধান সাড়ে ৩ লাখ টন, সেদ্ধ চাল ১৪ লাখ টন এবং গমের জন্য কোন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
এবিষয়ে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ টাকা কেজি দরে ধান, চাল ৪৯ টাকা, ৩৬ টাকা দরে গম কেনা হবে। ধান সাড়ে ৩ লাখ টন, চাল ১৪ লাখ টন এবং গমের জন্য কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় যে উৎপাদন খরচ দিয়েছে তার সঙ্গে লাভ যুক্ত করে ধান, চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে। কৃষি উপদেষ্টা সেখানে যাবেন, উদ্বোধন করবেন। ২৪ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। উত্তরবঙ্গে একটু দেরিতে শুরু হবে।
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে আশা করছি তার থেকে বেশি উৎপাদন হবে। আগামীকাল সুনামগঞ্জের ধান কাটার উৎসবে যাচ্ছি।